গুজরাটের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আউট হয়ে বসেন কেরলের ক্যাপ্টেন সচিন বাবি। তবে দুর্দান্ত শতরান করে আক্ষরিক অর্থেই ইতিহাস গড়েন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে ধীরে সুস্থে বড় রানের পথে এগিয়ে চলেছে কেরল।
আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে নামে কেরল ও গুজরাট। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কেরল। তারা প্রথম দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তোলে। ব্যাট করে ৮৯ ওভার। বোঝাই যাচ্ছে যে, গুরুত্বপূর্ণ সেমিফাইনালে কোনও তাড়াহুড়ো করতে রাজি নন কেরলের ব্যাটাররা।
দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে কেরল অনায়াসে সাড়ে তিনশো রানের গণ্ডি টপকে যায়। শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত কেরল তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৮ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫১ রান তুলেছে। আজহারউদ্দিন অপরাজিত রয়েছেন ১১৭ রান করে। ৫২ রানে ব্যাট করছেন সলমন নিজার।
সচিন বাবি প্রথম দিনেই ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। মহম্মদ আজহারউদ্দিন নট-আউট ছিলেন ব্যক্তিগত ৩০ রানে। সচিন দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে নিজের ইনিংসে কোনও রান যোগ করতে পারেননি। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯৫ বলে ৬৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন।
লড়াকু শতরান মহম্মদ আজহারউদ্দিনের
উইকেটকিপার আজহারউদ্দিন দ্বিতীয় দিনে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১০৬ বলে। সাহায্য নেন ৫টি বাউন্ডারির। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১৭৫ বলে। সাহায্য নেন ১৩টি বাউন্ডারির। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করা কেরলের প্রথম ব্যাটারে পরিণত হন আজহারউদ্দিন। সেদিক থেকে নিঃসন্দেহে ইতিহাস গড়েন আজহার।
তাঁকে সঙ্গ দিয়ে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সলমন নিজার। তিনি ৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে খরচ করে ১৮৫টি বল। সাহায্য নেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কার। এছাড়া প্রথম দিনে ৭১ বলে ৩০ রান করে আউট হন অক্ষয় চন্দ্রন। তিনি ৫টি চার মারেন। রোহন কুন্নুমল করেন ৬৮ বলে ৩০ রান। তিনিও ৫টি চার মারেন। জলজ সাক্সেনা ৮৩ বলে ৩০ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনি ৪টি চার মারেন। ৫৫ বলে ১০ রান করেন বরুণ। তিনি ১টি চার মারেন।
গুজরাটের হয়ে তখনও পর্যন্ত ২টি উইকেট নিয়েছেন আর্জান নাগওয়াসওয়ালা। রবি বিষ্ণোই দখল করেন ১টি উইকেট।