চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির গ্রুপ লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরে বাংলা। সেই ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখে নক-আউটেও। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে পারেনি বাংলা। তা সত্ত্বেও শেষ ওভারের থ্রিলারে জয় তুলে নেয় তারা। চিন্নাস্বামীতে রুদ্ধশ্বাস জয়ের সুবাদে জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলা।
চিন্নাস্বামীতে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় চণ্ডীগড় দলনায়ক মনন ভোরার। তিনি টস জিতে বাংলাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান। বাংলা নিয়মিত অন্তরে উইকেট হারাতে থাকলেও দেড়শো টপকে লড়াইয়ের রসদ জোগাড় করে নেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তোলে বাংলা।
১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন আগ্রাসী ওপেনার অভিষেক পোড়েল। অপর ওপেনার করণ লাল ২৫ বলে ৩৩ রান করেন মাঠ ছাড়েন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন সুদীপ ঘরামি তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খাতা খুলতে পারেননি। শাকির হাবিব গান্ধী চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ বলে ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন।
ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ক্রিজে এসেই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১২ বলে ২৮ রান করে আউট হয়ে বসেন। ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩ বলে ৭ রান করে মাঠ ছাড়েন শাহবাজ আহমেদ। ১২ বলে ৬ রান করেন অগ্নিভ পান। কণিষ্ক শেঠ ৩ বলে ১ রান করে ডাগ-আউটে ফেরেন।
২৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন প্রদীপ্ত প্রামানিক। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শামি মাত্র ১৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩ বলে ১ রান করে নট-আউট থাকেন সায়ন ঘোষ।
চণ্ডীগড়ের হয়ে জগজিৎ সিং ৪ ওভারে ২১ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন রাজ বাওয়া। ১টি করে উইকেট নেন নিখিল শর্মা ও অমৃত লুবানা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চণ্ডীগড় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রানে আটকে যায়। ৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শেষ আটের টিকিট পকেটে পোরে বাংলা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য চণ্ডীগড়ের দরকার ছিল ১১ রান। সায়ন ঘোষ শেষ ওভারে ৭ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন। তাছাড়া শেষ ওভারে একটি রান-আউটও হয়।
চণ্ডীগড়ের হয়ে মনন ভোরা ২৩, রাজ বাওয়া ৩২, প্রদীপ যাদব ২৭ ও নিখিল শর্মা ২২ রান করেন। বাংলার হয়ে সায়ন ঘোষ ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। মহম্মদ শামি ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কণিষ্ক শেঠ। শাহবাজ আহমেদ ৪ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। ম্যাচের সেরা হন সায়ন।