শুভব্রত মুখার্জি: ২০২৪-এর ২৯ জুন বিশ্ব জয় করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় পরে এসেছে সাফল্য। ক্যারিবিয়ানভূমে যে উৎসব শুরু হয়েছিল, তার রেশ রয়ে গিয়েছে এখনও। কয়েক দিন আগেই বীরের সম্মান পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে আম আদমি সকলেই উচ্ছাসে ভেসেছেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম থেকে গোটা মুম্বই-ই বীরদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসে। সেই উচ্ছ্বাস কমার কোনও লক্ষণ যে নেই, তা ফের একবার প্রমাণিত হল। সব কিছু শেষে শুক্রবার হায়দরাবাদ এসে পৌঁছান ঘরের ছেলে মহম্মদ সিরাজ। তাঁকে দেখতে বিমানবন্দরে ছিল উচ্ছ্বসিত জনতার ভিড়। রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে ঘরের ছেলেকে বরণ করে নিয়েছেন হায়দরাবাদবাসী।
আরও পড়ুন: ওডিআই এবং টেস্টে রোহিতই অধিনায়ক, WTC ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ঘোষণায় বোঝালেন জয় শাহ
প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্বকাপ যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমেরিকার নিউ ইয়র্ক, ডালাস এবং ফ্লোরিডায় আয়োজন করা হয় ম্যাচগুলো। এই আমেরিকা পর্যায়ের ম্যাচগুলোতে ভারতীয় দলের হয়ে নিয়মিত খেলেছেন মহম্মদ সিরাজ। এর পর সুপার এইট এবং নক আউট পর্বে ভারতের ম্যাচগুলো হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানকার পিচ যেহেতু স্পিন সহায়ক ছিল, ফলে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশে সিরাজের বদলে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কুলদীপ যাদবকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের হয়ে আয়োজক আমেরিকা, আয়ারল্যান্ড এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ। বল হাতে বেশ ভালো পারফরম্যান্সও করেছেন এই তারকা পেসার।
আরও পড়ুন: ধোনির জন্মদিনের সেলিব্রেশনের কেক খেতে মাঝরাতে হাজির সলমন খান, ভিডিয়ো কলে শুভেচ্ছা জানালেন রুতুরাজ
বিশ্বকাপ জিতে ঘরে ফেরার রাতেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মহম্মদ সিরাজ। সেখানেই তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য বিশ্বকাপজয়ী এই দলের অংশ হতে পেরে তিনি গর্বিত। বিশ্বকাপ জয়টা ছিল তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের অন্যতম গর্বের মুহূর্ত। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, এই মুহূর্তে তাঁর যে অনুভূতি সেটা শব্দের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করা খুব চ্যালেঞ্জিং। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘ভারত দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করেছে বিশ্বকাপ জয়ের। অবশেষে এই বিশ্বকাপটা জিততে পেরে আমরা খুব খুশি। যে আনন্দটা হচ্ছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা খুব মুশকিল।’ মেহেদিপত্তমে হাজার হাজার উৎসাহী সমর্থক সিরাজকে এক ঝলক দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। তারা ঘিরে ধরেন সিরাজের গাড়ি তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য। তারা হাততালি দিয়ে সিরাজকে অভিবাদন জানান। তাঁর নামে জয়ধ্বনি দেন। সিরাজ নিজের গাড়ির 'সান রুফ' খুলে সেখান থেকে দাঁড়িয়ে সকলের অভিবাদন গ্রহণও করেন।