পার্থে বল হাতে নজর কাড়লেও অ্যাডিলেডে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছেন হর্ষিত রানা। এমনিতেও তাঁর দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। কেউ-কেউ কটাক্ষ করে তাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) কোটার খেলোয়াড়ও বলছিলেন। বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ভালো বল করেছিলেন তিনি। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে। যেখানে তিনি ১৫.২ ওভার বল করে ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩.৪ ওভার বল করে ৬৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাডিলেডে উইকেট না পেতেই ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি। তবে তাঁর পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ভারতের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। তিনি মনে করছেন হর্ষিত সবেমাত্র দলে এসেছেন, তাঁর একটু সময়ের প্রয়োজন রয়েছে শেখার জন্য।
মর্নি মর্কেল বলেন, ‘হর্ষিত রানার এটা দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। এটা একটা বড় শিক্ষা ছিল তার জন্য। ও প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় খেলছে। সে এমন একজন ক্রিকেটার যে বর্তমান থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে। টেস্ট ক্রিকেট একটা খুবই কঠিন জায়গা। এখানে পালানোর কোনও সুযোগ নেই। এটা তার দ্বিতীয় টেস্ট ছিল, এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছে ও। একজন কোচ হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় কাজ হল আজ তার পাশে থাকা। ৫০ হাজার দর্শকের সামনে খেলাটা সহজ কথা নয়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হয় ওর মধ্যে সবরকম রসদ রয়েছে। আমরা দল হিসেবে তার সঙ্গে কথা বলব। আমি তার সঙ্গে আরও কথা বলব, আরও অনেক কিছু শিখাতে হবে। আমি তাকে ভালো-ভালো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করব।এরকম কঠিন দিনগুলি অনেক কিছু শিখতে সাহায্য করে। যতই কঠিন হোক না কেন এই দিনগুলিই সবচেয়ে বেশি কাজে আসে।’
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় টেস্ট প্রায় হারের মুখে ভারত। প্রথমে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পার্থের মতো এখানেও অল্প রানে গুটিয়ে যায় ভারত। প্রথম ইনিংসে ১৮০ রান তোলে তারা। এক মাত্র ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য রান করেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (৪২)। শুরু করলেও বড় রান করতে ব্যর্থ হন কেএল রাহুল (৩৭) এবং শুভমন গিল (৩১)। অজিদের হয়ে বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। এটি ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম ফাইফার ছিল। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৩৩৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ১৪০ বলে ১৪১ রান করেন ট্র্যাভিস হেড। ভালো খেলেন মার্নাস ল্যাবুশান (৬৪) এবং নাথান ম্যাকসুইনিও (৩৯)। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ ভারতের ব্যাটাররা। দ্বিতীয় দিনের শেষেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম ইন্ডিয়া। তৃতীয় দিনের সকালেও বল হাতে দাপট দেখালেন অজি বোলাররা। ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া।