উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলা একসময় ১ উইকেটে ২১২ রানে দাঁড়িয়েছিল। সেখান থেকে বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় তিনশো টপকেই। ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ১১৬ ও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সুদীপ ঘরামি ৯০ রান করা সত্ত্বেও বাংলা প্রথম ইনিংসে আরও বড়সড় ইনিংস গড়ে তুলতে পারেনি।
ঠিক একই ছবি দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের প্রথম ইনিংসেও। ঘরের মাঠে ইউপি একসময় ৩ উইকেটে ২০৫ রান তুলে ফেলে। তবে সেখান থেকে তারা প্রথম ইনিংসে তিনশো রানের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হয়। ফলে একসময় চাপে পড়ে যাওয়া বাংলা প্রথম ইনিংসের নিরিখে ছোটখাটো লিড পেয়ে যায়।
প্রথম ইনিংসে লিড পেল বাংলা
লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলা। তারা প্রথম ইনিংসে ৯৬.২ ওভার ব্যাট করে ৩১১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশ দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে তুলে ফেলে ৩ উইকেটে ১৯৮ রান। আরিয়ান জুয়েল ৯০ ও সিদ্ধার্থ যাদব ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে উত্তরপ্রদেশের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৯২ রানে। ইউপি ব্যাট করে সাকুল্যে ৮৯.৪ ওভার। সুতরাং, অ্যাওয়ে ম্যাচে প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৯ রানের ছোটখাটো লিড পেয়ে যায় অনুষ্টুপ মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বাংলা।
সেঞ্চুরি হাতছাড়া আরিয়ানের
সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরেন আরিয়ান জুয়েল। তিনি ২১৪ বলে ৯২ রান করে আউট হন। মারেন ৮টি চার। সিদ্ধার্থ যাদব ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১২৭ বলে ৭৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। নীতীশ রানা প্রথম ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ বলে ৩২ রান করে মাঠ ছাড়েন। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ১৬ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন যশ দয়াল।
দাপুটে বোলিং মুকেশ-শাহবাজের
বাংলার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। ৯৬ রান খরচ করে ৪টি উইকেট সংগ্রহ করেন শাহবাজ আহমেদ। ৪২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন মহম্মদ কাইফ। শেষমেশ ম্যাচ ড্র হলে প্রথম ইনিংসের লিড মহা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিতে পারে বাংলার কাছে।