ইরানি কাপে অংশ নিতে লখনউ যাওয়ার পথে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুম্বইয়ের তারকা ক্রিকেটার মুশির খান। দুর্ঘটনায় ঘাড়ে চোট পান তিনি। ফ্র্যাকচারও হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটে ও মুশিরের চোট কতটা গুরুতর, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। অবশেষে ১৯ বছরের ক্রিকেটারের শারীরিক পরিস্থিতিত আপডেট দিল মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা।
এমসিএ-র তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় যে, মুশির খানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি সচেতনে রয়েছেন এবং ভয়ের কোনও কারণ নেই। যদিও তাঁর ঘাড়ের কাছে হাড় ভেঙেছে বলেও নিশ্চিত করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এও জানানো হয় যে, বিসিসিআই ও মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার মেডিক্যাল টিম মুশিরের শরীরিক পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে। ট্রাভেল করার মতো পরিস্থিতিতে এলেই মুম্বইয়ে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা চালানো হবে তরুণ ক্রিকেটারের।
মুশির খান প্রত্যাশিতভাবেই ইরানি কাপের জন্য মুম্বই দলে নির্বাচিত হন। দাদা সরফরাজের সঙ্গে মুম্বইয়ের হয়ে এই ম্যাচে অবশিষ্ট ভারত একাদশের বিরুদ্ধে মাঠে নামার কথা ছিল মুশিরের। যদিও মুম্বই দলের সঙ্গে ইরানি কাপ খেলতে লখনউয়ে যাননি তিনি। বরং নিজের জন্মস্থান আজমগড় থেকে বাবা তথা কোচ নৌশাদের সঙ্গে লখনউয়ের পথে রওনা হন তিনি।
পথে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে মুশিরের এসইউভি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় গাড়ি। তড়িঘড়ি নিকটবর্তী মেদান্ত হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে ভরতি করা হয় মুশিরকে। প্রাথমিকভাবে ঘাড়ে ব্যথার কথা জানান তারকা ক্রিকেটার। হাসপাতালের অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডাক্তার ধর্মেন্দ্র সিংয়ের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয় মুশিরের।
দুর্ঘটনায় চোট পেয়েছেন মুশিরের পিতা নৌশাদ খানও। যদিও তাঁর চোট গুরুতর নয়। হাসপাতালের তরফেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, মুশির খানের শরারিক পরিস্থিতি নিয়ে ভয়ের কোনও কারণ নেই।
উল্লেখ্য, আগামী ১ অক্টোবর থেকে লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ইরানি কাপের ম্যাচ। সঙ্গত কারণেই এই ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছেন মুশির। তাঁর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে খবর। তাই যদি হয়, তবে রঞ্জি ট্রফির শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ম্যাচেও মুম্বইয়ের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।
মুশির খান এখনও পর্যন্ত মোট ৯টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। ১৫টি ইনিংসে ব্যাট করে ৫১.১৪ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৭১৬ রান। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ১টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস অপরাজিত ২০৩ রানের।