২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান নিঃসন্দেহে তৃপ্তির। মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা সঙ্গত কারণেই উচ্ছ্বসিত অজিঙ্কা রাহানেদের সাফল্যে। দীর্ঘদিন পরে ইরানি কাপের ট্রফি ঘরে তোলার পরে তাই ক্রিকেটারদের কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাতে ভোলেনি এমসিএ।
এবছর লখনউয়ে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বাধীন অবশিষ্ট ভারত একাদশকে হারিয়ে ইরানি কাপের ট্রফি জেতে মুম্বই ক্রিকেট দল। গতবারের রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন মুম্বই এবার ইরানি কাপ জেতে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে। দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা হন সরফরাজ খান, যাঁকে ইরানিতে অংশ নেওয়ার জন্য কানপুর টেস্টের ভারতীয় স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার ইরানিজয়ী মুম্বই ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেয় মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সেখানেই চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার মূল্য ঘোষণা করেন এমসিএ সচিব অভয়। উল্লেখ্য, ইরানি চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে প্রাইজ মানি হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছে মুম্বই ক্রিকেট দল। অর্থাৎ, বোর্ডের পুরস্কার মূল্যের দ্বিগুণ অর্থ এমসিএ দিচ্ছে দলকে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুম্বই দলনায়ক রাহানে ক্যাপ্টেন হিসেবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি খোলসা করেন। তিনি বলেন, ‘সাফল্যের কোনও গোপন রহস্য হয় না। আমি বিশ্বাস করি যে, ক্রিকেট খেলাটা মাঠের ১১ জন ও মাঠের বাইরের ৪-৫ জন ক্রিকেটারের সবার। এটা ব্যক্তিগত খেলা নয়। সব খেলোয়াড় সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
রাহানে আরও বলেন, ‘ক্যাপ্টেন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হল খেলোয়াড়দের স্বাধীনতা দেওয়া ও আত্মবিশ্বাস জোগানো। কেননা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী সব খেলোয়াড়ই ম্যাচ উইনার। সব খেলোয়াড়ের দায়িত্ব রয়েছে। যারা মাঠের বাইরে বসে থাকে, ক্যাপ্টেনকে এমন কিছু ইনপুট দিতে পারে, যা মাঠে থেকে ক্যাপ্টেনের পক্ষে ভাবা সম্ভব নয়।’
ইরানির সেরা ক্রিকেটার সরফরাজ খান অবশ্য সংবর্ধনা মঞ্চেও ভাইয়ের সঙ্গে নিজের সাফল্য ভাগ করে নেন। সরফরাজের ভাই মুশির খানেরও ইরানিতে মাঠে নামার কথা ছিল। তবে আজমগড় থেকে ইরানি খেলতে লখনউ যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মুশির। ঘাড়ে বড়সড় চোট পাওয়ায় শেষমেশ ইরানিতে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুশির।
সরফরাজ খান ইরানিতে নিজের ডাবল সেঞ্চুরি প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি ওকে (ভাই মুশিরকে) বলেছিলাম, যদি আমি হাফ-সেঞ্চুরি টপকাতে পারি, তবে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি করব। যার মধ্যে একশো রান হবে ওর জন্য।