হতে পারে এ-টিমের লড়াই। তবে বাংলাদেশ কার্যত তাদের আন্তর্জাতিকমানের দল নামিয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তার পরেও চার দিনের বেসরকারি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ল্যাজেগোবরে হতে হয় মুশফিকুর রহিমদের। যদিও পাকিস্তান-এ দলের হয়েও মাঠে নেমেছেন একাধিক প্রথম সারির তারকা।
২১ অগস্ট থেকে পাকিস্তান সফরে ২টি টেস্টের সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে বাংলাদেশ-এ দলের হয়ে পাকিস্তান-এ দলের বিরুদ্ধে চার দিনের ম্যাচে মাঠে নামেন মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, এনামুল হক, মোমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদত হোসেন, নইম হাসান, তানজিম হাসান শাকিব, হাসান মাহমুদরা।
পাকিস্তান-এ দলের হয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামেন সইম আয়ুব, সউদ শাকিল, সরফরাজ আহমেদ, নাসিম শাহরা। সিরিজের প্রথম বেসরকারি টেস্টে বাংলাদেশের উপর একতরফা ছড়ি ঘোরাতে দেখা যায় নাসিম শাহদের।
ইসলামাবাদে টস জিতে বাংলাদেশ-এ দল শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তারকাখচিত দল নিয়েও তারা প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১২২ রানে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস স্থায়ী হয় মোটে ৪৪.৩ ওভার। ওপেন করতে নেমে কার্যত ব্যাট হাতে একা লড়াই চালান মাহমুদুল হাসান জয়। বাকিরা আয়ারাম-গয়ারাম।
মাহমুদুল ৬৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। ১১৬ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার মারেন। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস মুশফিকুর রহিমের। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ১৪ রান করেন। মোমিনুল হক ১১ ও রেজাউর রহমান রাজা ১০ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি জাকির হাসান, শাহাদত হোসেন, নইম হাসান ও হাসান মুরাদ।
পাকিস্তান-এ দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন নাসিম শাহ। ৩৩ রানে ৩টি উইকেট নেন মীর হামজা। মহম্মদ রামিজ ৪১ রানে ২টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন মহম্মদ আলি ও উমর আমিন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান-এ দল দ্বিতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে তুলে ফেলে ৪ উইকেটে ৩৬৭ রান। তারা সাকুল্যে ব্যাট করে ৯০ ওভার। ২১১ বলে ১৭৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন উমর আমিন। তিনি ২৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। অর্থাৎ, উমর একাই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের থেকে অনেক বেশি রান সংগ্রহ করেন। এছাড়া সউদ শাকিল ৭৬ রানের যোগদান রাখেন।
পাকিস্তান-এ দল দ্বিতীয় দিনের শেষেই প্রথম ইনিংসের নিরিখে বাংলাদেশ-এ দলের থেকে ২৪৫ রানে এগিয়ে থাকে।