সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে বেঁধেও জয় অধরা থেকে যায় বাংলাদেশের। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাশুল দিয়ে সেই ম্যাচ হারতে হয় নাজমুল হোসেন শান্তদের। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। তারা ক্যাপ্টেনের ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে হারিয়ে দিল আফগানিস্তানকে। সেই সুবাদে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল বাংলাদেশ।
শনিবার শারজায় টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে। অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন শান্ত। তিনি ১১৯ বলে ৭৬ রানের সতর্ক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা।
শান্তর এই ইনিংস টেস্টসুলভ হলেও পরিস্থিতির নিরিখে কার্যকরী সন্দেহ নেই। উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে অল্পের জন্য ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন নাজমুল। সেই ম্যাচেও দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৭ রান করে আউট হন বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন।
এছাড়া দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ২৭ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ৪৯ বলে ৩৫ রান করেন সৌম্য সরকার। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। তানজিদ হাসান ২২, মেহেদি হাসান মিরাজ ২২, তৌহিদ হৃদয় ১১, মাহমুদুল্লাহ ৩, নাসুম আহমেদ ২৫ ও তাসকিন আহমেদ অপরাজিত ২ রানের যোগদান রাখেন।
আফগানিস্তানের হয়ে ২৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন খারোটে। রশিদ খান ১০ ওভারে ৩২ রান খরচ করে একজোড়া উইকেট তুলে নেন। ১০ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন গজনফর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে তারা। ব্যর্থ হয় রহমত শাহর হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৭৬ বলে ৫২ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার। ৫১ বলে ৩৯ রান করেন সেদিকউল্লাহ অটল। তিনিও ৫টি বাউন্ডারি মারেন।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২, হাশমতউল্লাহ শাহিদি ১৭, গুলবদিন নায়েব ২৬, মহম্মদ নবি ১৭ ও রশিদ খান ১৪ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেলেন। খাতা খুলতে পারেননি আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশের হয়ে পালা করে উইকেট তোলেন ৫ বোলার। ২৮ রানে ৩টি উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। ২টি করে উইকেট দখল করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ। ম্যাচের সেরা হন নাজমুল।