দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হার দিয়ে এবছর উইমেন্স প্রিমিয়র লিগ অভিযান শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাট জায়ান্টসকে হারিয়ে পয়েন্টের খাতা খুলে ফেলেন হরমনপ্রীত কৌররা। হেইলি ম্যাথিউজ ও ন্যাট সিভার ব্রান্টের যুগলবন্দিতে মরশুমের প্রথম জয় পায় মুম্বই।
ভদোদরায় টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। প্রথমে ব্যাট করে গুজরাট জায়ান্টস মোটেও স্বস্তিতে ছিল না। তারা নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। শেষমেশ ২০ ওভারে ১২০ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায় জায়ান্টস।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩২ রান করেন হার্লিন দেওল। ৩১ বলের সতর্ক ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন। ১৫ বলে ২০ রান করেন কাশবী গৌতম। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। তনুজা কানওয়ার ১৩, সায়লি সাতঘরে ১৩ ও ক্যাপ্টেন অ্যাশলেই গার্ডনার ১০ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
৩ উইকেট হেইলি ম্যাথিউজের
বেথ মুনি ১, লরা উলভার্ট ৪, দয়ালান হেমলতা ৯, দিয়েন্দ্রা ডটিন ৭, শিমরন শেখ ৩ ও প্রিয়া মিশ্র ২ রান করে আউট হন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে হেইলি ম্যাথিউজ ৪ ওভারে ১৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন অ্যামেলিয়া কের। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন ন্যাট সিভার ব্রান্ট। ১টি করে উইকেট দখল করেন শাবনিম ইসমাইল ও আমনজ্যোৎ কৌর।
দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি ন্যাট সিভার ব্রান্টের
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ১৬.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১২২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৩ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ন্যাট সিভার ব্রান্ট। তিনি ৩৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। মারেন ১১টি চার।
২০ বলে ১৯ রান করেন অ্যামেলিয়া কের। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৯ বলে ১৭ রান করেন হেইলি ম্যাথিউজ। তিনি ৩টি চার মারেন। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ১০ রান করে নট-আউট থাকেন সজীবন সজনা। ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত ২ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
গুজরাটের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন প্রিয়া মিশ্র ও কাশবী গৌতম। ১টি উইকেট দখল করেন তনুজা কানওয়ার। ব্যাটে-বলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা হেইলি ম্যাথিউজ ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন।