আদালতে দোষি সাব্যস্ত হয়েছিলেন আগেই। বড়সড় শাস্তি পেতে পারেন বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছিল। শেষমেশ সেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়। ধর্ষণের দায়ে শেষমেশ দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড হল নেপালের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছানের।
গত ২৯ ডিসেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালতে ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত হন ২০০-র বেশি আন্তর্জাতিক উইকেট নেওয়া তারকা স্পিনার। বুধবার সাজা হিসেবে লামিছানের ৮ বছরের কারাদণ্ড শোনায় আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানাও গুনতে হবে তারকা ক্রিকেটারকে।
নেপালের জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সন্দীপ লামিছানের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২১ অগস্ট কাঠমান্ডুর একটি হোটেল রুমে এক নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যার জেরেই লামিছানেকে শেষমেশ হাজতবাস করতে হবে।
দুষ্কর্মের দু'সপ্তাহ পরে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর গৌশালার মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্কলে নির্যাতিতা লামিছানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ অক্টোবর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লামিছানেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর কাঠমান্ডু জেলা আদালত লামিছানেকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। জেলা আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হন সন্দীপ।
পরে ২০২৩-এর ১২ জানুয়ারি পাটান হাইকোর্ট তারকা ক্রিকেটারের জামিন মঞ্জুর করে। লামিছানের দাখিল করা রিভিউ পিটিশন বিবেচনা করে বিচারপতি ধ্রুবরাজ নন্দ ও বিচারপতি রমেশ দাহালকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ ২০ লক্ষ টাকার বণ্ডে শর্তশাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দেয় ওদেশের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ককে।
নেপাল দল থেকে লামিছানেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাসিতও করা হয়েছিল। তবে জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ফের জাতীয় দলে ঢোকেন তিনি। শেষমেশ বিচারপতি শিশির রাজ ধাকালের এজলাসে মামলা উত্থাপিত হলে লামিছানের বিরুদ্ধে দুষ্কর্মের অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়। যদিও বিচারপতি এটা নিশ্চিত করেন যে, ২০২২ সালের অগস্টে ধর্ষণের সময় অভিযোগকারিনী নাবালিকা ছিলেন না।
লামিছানে নেপালের হয়ে ৫১টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। সংগ্রহ করেছেন ১১২টি উইকেট। সেই সঙ্গে দেশের জার্সিতে ৫২টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমে তিনি ৯৮টি উইকেট সংগ্রহ করেন। অর্থাৎ, দুই ফর্ম্যাট মিলিয়ে লামিছানের দখলে রয়েছে ২১০টি আন্তর্জাতিক উইকেট। ২০১৮ ও ২০১৯, দু'টি মরশুমে আইপিএলের মোট ৯টি ম্যাচে মাঠে নামেন লামিছানে। সংগ্রহ করেন সাকুল্যে ১৩টি উইকেট।
লামিছানে নেপালের হয়ে শেষবার মাঠে নামেন ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর। ওমানের বিরুদ্ধে সেই টি-২০ ম্যাচে সন্দীপ ৪ ওভার বল করে ৩০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন।