এসিসির অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে গেল নেপাল অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তবে দুরন্ত লড়াই দিল তাঁরা। গ্রুপ স্টেজের ম্যাচে এই একদিনের খেলায় বাংলাদেশকে একটা সময় বেশ চাপের মধ্যেই ফেলে দিয়েছিল নেপাল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা আর স্নায়ুচাপ তাঁরা ধরে রাখতে পারল না। আর তাতেই ম্যাচ হেরে গেল নেপাল দল।
ম্যাচে অবশ্য নেপাল দল দুর্ভাগ্যেরও শিকার হলেন। কারণ দলের সেরা বোলার, যিনি বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের মেরুদণ্ড কার্যত ভেঙে দিচ্ছিলেন, সেই বোলারই চোট পেয়ে বাধ্য হলেন মাঠ ছাড়তে। সেই সুযোগে বাংলাদেশ দলও অনেকটা সুযোগ পেয়ে গেল। আর তাতেই চাপে পড়ে গেল নেপাল, শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বের করে নেয় বাংলাদেশের ছোটরা।
বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক মহম্মদ আজিজুল হাকিম তামিম টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ফলে নেপালকে প্রথমে ব্যাট করতে আসতে হয়। তাঁরা শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়ে। ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠি ভালো খেললেও টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়াতেই পুরো চাপটাই এসে পড়ে নেপালের টেলেন্ডারদের এবং লোয়ার অর্ডারের ওপর।
ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠি ৪৩ রান করেন নেপালের হয়ে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার উত্তম থাপা মাগার করেন ২৯ রান। কিন্তু তিনি রানআউট হয়ে যান। এরপর অভিষেক তিওয়ারি নেমে নেপালের হয়ে ২৯ রান করেন, মারেন ১টি চার ও দুটি ছয়। তাতেই নেপালের ইনিংস ৪৫.৪ ওভারে ১৪১ রানে পৌঁছায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলও বেজায় সমস্যায় পড়েছিল নেপালের স্পিনার যুবরাজ খাতরির বিরুদ্ধে। তিনি একাই বাংলাদেশের পাঁচটি উইকেটের মধ্যে চারটি উইকেট নিয়ে ফেলেন। কিন্তু এর মাঝেই ঘটে যায় বিপত্তি। তিনি আউট করার পর উচ্ছাস প্রকাশ করতে গিয়ে নিজেই নিজেকে চোটের কবলে ফেলেন। তাঁর ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট লাগে, আনন্দ করতে গিয়ে।
যুবরাজের এই চোট নেপালকে বেশ ভোগাবে বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের। কারণ যেভাবে তাঁর গোড়ালিতে চোট লেগেছে ল্যান্ডিংয়ের সময়, তাতে তাঁর পক্ষে পরের ম্যাচে খেলা প্রায় অসম্ভব। কারণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিনি আর বোলিংই করতে পারেননি। সতীর্থ ক্রিকেটারের কাঁধে চেপে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। এর আগে তিনি ৬ ওভার বোলিং করে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত ২৮.২ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় বাংলাদেশ দল। ওপেনার জাওয়াদ আব্রার করেন ৫৯ রান। অধিনায়ক মহম্মদ আজিজুল হাকিম তামিম করেন অপরাজিত ৫২ রান। এরপর দেবাশিস সরকার নেমে ২ বলে পাঁচ রান করে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেয় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে।