বৃহস্পতিবার আমদাবাদে গুজরাট টাইটানসের হাতে ছিল ১৯৯ রানের বড়সড় পুঁজি। তার উপর পালটা ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব কিংস নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। ১১১ রানে পঞ্জাবের অর্ধেক ব্যাটিং লাইনআপ সাজঘরে ফেরার পরে মনে হয়েছিল বুঝি ম্যাচ গুজরাটের হাতের মুঠোয়। সেখান থেকে শেষমেশ ম্যাচ বার করে নিয়ে যায় পঞ্জাব।
আসলে পঞ্জাব কিংসকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ করে দেয় টাইটানসই। একের পর এক ক্যাচ মিস করে পঞ্জাবের ব্যাটারদের রান করার সুযোগ করে দেন টাইটানসের ফিল্ডাররা। গুজরাটকে অন্তত ৪টি ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয় ম্যাচ হেরে।
স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের শেষে দলের ফিল্ডিং নিয়ে নিতান্ত অখুশি দেখায় গুজরাট দলনায়ক শুভমন গিলকে। তিনি ম্যাচ হারের জন্য অন্য কোনও কারণকে আমল দিতে চাইলেন না। স্পষ্ট জানান যে, সহজ ক্যাচ মিসের জন্যই হারের মুখ দেখতে হয়েছে তাঁদের।
গিল বলেন, ‘অন্তত গোটা দু’য়েক সহজ ক্যাচ ছেড়েছি আমরা। ক্যাচ ছাড়লে এধরণের ম্যাচ জেতা কখনই সহজ হয় না। ব্যাটে ঠিকমতো বল এলে কোনও টার্গেটই যথেষ্ট হয় না, যদি না আপনি ২৫০-২৬০ রান করেন। এমন পরিস্থিতিতে বোলাররা দারুণ বল করেছে বলতে হয়।'
আইপিএল সংক্রান্ত যাবতীয় খবর, ছবি, ওয়েবস্টোরি, লাইভ স্কোর আপডেটে চোখ রাখতে ক্লিক করুন এখানে
গিল এক্ষেত্রে মানতে চাইলেন না যে, তাঁদের আরও কিছু রান সংগ্রহ করা উচিত ছিল বলে। বরং গুজরাট দলনায়কের দাবি, এই পিচে ২০০ রান যথেষ্ট ছিল। শুভমনের কথায়, ‘২০০ রান যথেষ্ট। টি-২০ ম্যাচে আপনার সবসময়ই মনে হবে ১০-১৫ রান এদিক-ওদিক হতে পারত। আমরা (দ্বিতীয় ইনিংসের) ১৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। তবে ক্যাচ মিস করায় চাপ বাড়ে।’
গুজরাট টাইটানস বনাম পঞ্জাব কিংস ম্যাচের ফলাফল:-
আমদাবাদে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গুজরাট টাইটানস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৯ রান তোলে। ৪৮ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভমন গিল। সাই সুদর্শন ৩৩ ও রাহুল তেওয়াটিয়া ২৮ রান করেন। ২টি উইকেট নেন পঞ্জাব কিংসের কাগিসো রাবাদা।
আরও পড়ুন:- IPL-এর ১৭ ইনিংসে ভারতীয়দের মধ্যে সব থেকে বেশি রান, রুতুর রেকর্ড ভাঙলেন সুদর্শন
পালটা ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব কিংস ম্যাচের একেবারে শেষ ওভারে জয় তুলে নেয়। তারা ১৯.৫ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২০০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে পঞ্জাব। ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন শশাঙ্ক সিং। প্রভসিমরন ৩৫ ও আশুতোষ শর্মা ৩১ রানের যোগদান রাখেন। ২টি উইকেট নেন গুজরাটের নূর আহমেদ। ম্যাচের সেরা হন শশাঙ্ক।