টি২০ বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের। কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবেই তাঁরা ছিটকে গেলেন এবারের টি২০ বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে। অঙ্কের নিরিখে এখনও সুযোগ থাকলেও মাস্ট উইন ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানে হেরে গেল ব্ল্যাক ক্যাপসরা। আর সেই কারণেই তাঁদের সুপার এইটের রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে গেলে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জিততেই হত কেন উইলিামসন, গ্লেন ফিলিপসদের। কিন্তু ডু অর ডাই ম্যাচে হেরে বসলেন ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফারগুসনরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলল। আফগানিস্তান নিজেদের পরের ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে হারাতে পারলেই, সুপার এইটে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন-শেষ ১৩ বলে ৩৭ রান!T20 WCup-এ দশম উইকেটে পার্টনারশিপের রেকর্ড শেরফান রাদারফোর্ডের
১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে তেমন বড় পার্টনারশিপ করতে পারলেন না নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। তাঁদের ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে হচ্ছে, নাসাউ কাউন্টিতে হলে তাও মানা যেত। কিন্তু সেখানেও পরপর দুই ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতা ডোবাল কেন উইলিয়ামসনের দলকে। ওপেনার ডেভন কনওয়ে বড় রান পাননি। আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন করেন মন্থর গতিতে ২৩ বলে ২৬ রান। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ১, রাচিন রবীন্দ্র ১০ এবং ড্যারিল মিচেল ১২। ম্যাচের ভাগ্য তখনই বোঝা গেছিল যখন ৬৩ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় কিউয়িরা, তাও একাই লড়াই চালিয়ে গেছিলেন গ্লেন ফিলিপস। তবে ৩৩ বলে তাঁর ৪০ রানের ইনিংস কাজে লাগল না। চার উইকেট নিলেন উইন্ডিজের আলজারি জোসেফ, তিন উইকেট নিলেন স্পিনার গুড়াকেশ মোতি।
আরও পড়ুন-‘বুমরাহ-র থেকে শিখেছি,এখন কাজে লাগাচ্ছি’, কোন অস্ত্রের কথা বললেন আর্শদীপ?
টস জিতে প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাট করতে পাঠান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। বোলিং করতে এসে শুরুতেই ঝটকা দেন ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথম ওভারেই তুলে নেন জনসন চার্লসের উইকেট। এরপর নিকোলাস পুরানকে সাজঘরে ফেরান টিম সাউদি, ২০ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় উইন্ডিজের। ২১ রানের মাথায় ফের আউট, এবার ০ রানে সাজঘরে ফেরেন রস্টন চেজ, তাঁর উইকেট তুলে নেন লকি ফারগুসন। মাস্ট উইন ম্যাচে কিউয়ি বোলাররা শুরু থেকেই অনবদ্য বোলিং করেন। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। এক সময় ১১২ রানে ৯ উইকেট পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু সেখান থেকে অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন শেরফান রাদারফোর্ড। শেষ ১৩ বলে ৩৭ রান জুটিতে যোগ করেন রাদারফোর্ড এবং মোতি। সম্মানজনক ১৪৯ রানে পৌঁছায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর। শেষ পর্যন্ত রাদারফোর্ডের ইনিংসটাই পার্থক্য গড়ে দিল।
আরও পড়ুন-চিরশত্রু পাকিস্তানকে সাহায্য রোহিতদের! অবশ্য শুক্রবারই স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে বাবরদের
এই ম্যাচে হারের সঙ্গে সঙ্গেই টি২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল নিউজিল্যান্ডের। অবাক করা বিষয় হলেও, প্রথম দুই ম্যাচে হেরেই হাইপ্রোফাইল নিউজিল্যান্ড এখন সি গ্রুপে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে। কিউয়িদের হারিয়ে আফগানিস্তানকে সাহায্য করে দিলেন আকিল হোসেন, গুড়াকেশ মোতিরা।