বিতর্কে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। সময়টা সত্যিই ভালো যাচ্ছে না প্রোটিয়াদের। কদিন আগেই টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে জেতা ম্যাচ হেরে গিয়ে ট্রফি হাতছাড়া করেছে তাঁরা। চোকার্স তকমা ঘোঁচানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন প্রোটিয়াজরা। হেনরিখ ক্লাসেন ম্যাচ জেতানোর মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেনি। তিনি আউট হতেই খেলা ঘুরে যায়। এবার ক্রিকেট মাঠে জাতি বৈষম্যেরই মারাত্মক অভিযোগ উঠল ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, যার জেরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হল বিশ্ব ক্রিকেটে। দঃ আফ্রিকার যুব দলের অধিনায়ক বদলকে কেন্দ্র করে এই বিতর্কের সূত্রপাত, যার ফলে কিছুটা ব্যাকফুটে দঃ আফ্রিকা ক্রিকটে বোর্ডের কর্তারা।
আরও পড়ুন-বিরাট উপেক্ষা! গম্ভীরকে কোচ করা নিয়ে হার্দিকের সঙ্গে আলোচনা, কোহলির সঙ্গে কথা বলল না বিসিসিআই
দঃ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের অধিনায়কের পদ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অব্যাহতি দেওয়া হয় ডেভিড টিগারকে। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর বসার ঠিক আগেই তাঁকে সরিয়ে দেয় প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড, যদিও দলের হয়ে প্রত্যেক ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন। কিন্তু ঠিক কি কারণে তাঁকে সরানো হয়েছে তা জানাজানি হওয়ার পর দঃ আফ্রিকা বোর্ডের বিরুদ্ধে এবার আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। উঠছে ভয়ঙ্কর জাতি বৈষম্যের অভিযোগ।
আরও পড়ুন-বিরাট নয়! বিদেশের মাটিতে এই ক্রিকেটারই হয়ে উঠতে পারে তুরুপের তাস! বলছেন গাভাসকর
গত বছর নভেম্বর মাসে আবসা জিউইশ অ্যাচিভার পুরস্কার নেওয়ার সময় দঃ আফ্রিকার তৎকালীন অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক টিগার বলেছিলেন, তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে উঠতি তারকা হিসেবে, কিন্তু আসল তারকা তাঁরাই যারা ইজরায়েলের লড়াই লড়ছেন। উল্লেখ্য হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরপরই দঃ আফ্রিকা বোর্ড তাঁকে অধিনায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেয়। তাঁরা আশঙ্কা করে, টিগারের এই মন্তব্যের পর সেদেশে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সময় তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে এক শ্রেণীর জনগোষ্ঠি। যদিও এরপরই এক এনজিও গাউতেং ডিভিশনের উচ্চ আদালতে সিএসএর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য মামলা দায়ের করে। তাঁরা দাবি করেন, দঃ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত অবৈধ, অসাংবিধানিক এবং সম্মানহানিকর।
আদালতে সেই এনজিওর তরফের আইনজীবী বলেন, ‘শেষ হয়ে যাওয়া প্রতিযোগিতায় তো আর টিগারকে অধিনায়ক পদে ফেরানো যাবে না। তবে আদালত নিশ্চয় যে রায় দেবে তার থেকে বোঝা যাবে কতটা অবৈধ, অসাংবিধানিক কাজ করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। বাগস্বাধিনতার হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। সিএসএ বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে, কেন টিগারের নিরাপত্তা সংশয় হতে পারত। ক্রিকেটার হিসেবে দলে থাকলে নিরাপত্তা সংশয় হবে না আর অধিনায়ক হিসেবে খেললেই সংশয় হবে? নিরাপত্তা নিয়ে কোনও বাড়তি পদক্ষেপ তো দঃ আফ্রিকা বোর্ড নেয়নি। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত শুধু টিগারের সম্মানহানি করেছে বা তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি করেছে সেটাই নয়, একইসঙ্গে দঃ আফ্রিকার মানুষের অধিকারকেও খর্ব করেছে'।