এবারের আইপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেল লখনউ সুপার জায়ান্ট শিবির। আর সেটা এল একেবারে বদলার ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। এবারের IPL 2025-এ জয়ের সরণিতে ফিরল এলএসজি। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এলএসজির অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। তখনই জানিয়েছিলেন, যত রানই আজ হোক না কেন, তাঁর দল সেটা চেজ করে নেবেই। আর সেটাই করে দেখালেন নিকোলাস পুরান, মিচেল মার্শরা। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতল লখনউ, ২৩ বল বাকি থাকতেই এল জয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দল সমস্যায় পড়ে যায়, তাঁদের দলের দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারই দ্রুত সাজঘরে ফেরায়। অভিষেক শর্মা ৬ রানে আউট হওয়ার পর ইশান কিষাণ ব্যাটিং করতে আসতেই তিনি প্রথম বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। শার্দুল ঠাকুর জোড়া উইকেট নিয়ে টপ অর্ডারে ধাক্কা দেন। ট্র্যাভিস হেড করেন ২৭ বলে ৪৮ রান। নীতীশ কুমার রেড্ডি করেন ৩২। ক্লাসেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবেই রান আউট হয়ে ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
অনিকেতের ঝোড়ো ইনিংস, শার্দুলের ৪ উইকেট
এরপর অনিকেত বর্মা ১৩ বলে ৩৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে সানরাইজার্সের রানকে এগিয়ে নিয়ে যান। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও এসে পরপর তিনটি ছয় মারার পর চতুর্থ বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯০ রান করে সানরাইজার্স শিবির। শার্দুল নেন চার উইকেট।
বদলার ম্যাচে জয় এলএসজির
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮মে ২০২৪র বদলা নেওয়ার লক্ষ্যে মারকাটারি ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান, মিচেল মার্শরা। সেদিন পুরান সামনে থেকে দেখেছিলেন হেড, অভিষেকের বিধ্বংসী ব্যাটিং। এরপর কেএল রাহুলকে দল ছাড়তে হয়েছিল। এবার অবশ্য পুরানও বুলডোজার চালিয়ে দিলেন এসআরএইচ বোলারদের ওপর। শামি থেকে কামিন্স, পুরান-মার্শ ঝড়ের সামনে বাদ গেল না কেউ।
হায়দরাবাদে পুরানের তাণ্ডব
২৬ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফেরেন নিকোলাস পুরান, মারলেন ৬টি করে চার এবং ছয়। গত ম্যাচেও পুরান দুরন্ত ব্যাটিং করেছিলেন। ৩০ বলে করেছিলেন ৭৫। কিন্তু শেষদিকে আশুতোষ শর্মার ম্যাজিকাল ইনিংসই দিল্লিকে জিতিয়ে দিয়েছিল ম্যাচ। এদিন অবশ্য পুরান-মার্শের দৌলতে ম্যাচ সহজেই জিতে নিল এলএসজি। ৩১ বলে ৫২ রান করে আউট হলেন মার্শ। তিনি ইনিংসে মারলেন ২টি ছয় এবং সাতটি চার।
পন্তের পারফর্মেন্সে চিন্তা
ঋষভ পন্তের পারফরমেন্স অবশ্য চিন্তায় রাখবে এলএসজির টিম ম্যানেজমেন্টকে। কারণ প্রথম ম্যাচে ০ রান করার পর এই ম্যাচে পন্ত করলেন ১৫ বলে ১৫ রান। অধিনায়কত্বের চাপটা যে তাঁর ওপর রয়েছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে ভালোভাবেই। ৮ বলে ২২ রান করেন আবদুল সামাদ, ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। ১৬.১ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় LSG।
দুরন্ত ক্যাচ হর্ষাল প্যাটালের
LSGর জয়ের ফলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অনিকেত বর্মার ব্যাটিং যেমন ঢাকা পড়ে গেল, তেমনই হার্ষাল প্যাটেলের নেওয়া আয়ুশ বাদোনির ক্যাচটাও হয়ত ঢাকা পড়ে গেল। কিন্তু আয়ুশকে আউট করে ডিপ মিড উইকেট থেকে অনেকটা দূরে দৌড়ে এসে যে ক্যাচ হার্ষাল নিলেন, তা এক কথায় অনবদ্য।