ভারতীয় ক্রিকেট দলে ডাক পেয়েছেন অলরাউন্ডার নীতীশ কুমার রেড্ডি। হার্দিক পাণ্ডিয়ার পরে এই পজিশনে একজন অলরাউন্ডারকে খুঁজে পেয়েছে ভারত। প্যাট কামিন্সের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলের নিয়মিত সদস্য হয়ে গেছিলেন আইপিএলে। তারকাখচিত দল হলেও নিজের যোগ্যতায় জায়গা করে নিয়েছেন। নীতীশ অবশ্য কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ব্যাটার হিসেবে, পরে আসতে আসতে হার্দিক পাণ্ডিয়া, বেন স্টোক্সদের মতো অলরাউন্ডার হয়ে ওঠের তিনি। এখন তাঁর লক্ষ্য দেশের হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। ৩০৩ রানের পাশাপাশি ৩ উইকেট নেওয়া নীতীশ জানালেন গত কয়েক মাসে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা।
আরও পড়ুন-লোকে হ্যাটা করত...এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে মনে, মোদীর সামনে কী বললেন হার্দিক?
নীতীশ রেড্ডি বলেন, 'আমি বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে খুব বেশি কথা বলিনি, তবে সব সময় চাইতাম ওনার সঙ্গে কথা বলতে। প্রথমবার আইপিএলে আমি যখন বিরাট ভাইয়ের দলের বিরুদ্ধে খেলি তখন ব্যাট করার সুযোগ পাইনি। শুধুই বল করেছিলাম। এবার আরসিবির বিরুদ্ধে যখন ম্যাচ ছিল, তখন কথা বলে বিরাট কোহলি আমার সঙ্গে। আমি সব সময়ই চাইতাম বিরাট ভাই আমার খেলার প্রশংসা করুক, কিন্তু আমি শুধুই এবারে তাঁর বিরুদ্ধে বোলিং করেছিলাম। এরপর যখন হাত মেলাচ্ছিলাম খেলার পর তখন বিরাট কোহলি আমায় জিজ্ঞাসা করে, নীতীশ তুমি কেমন আছ? এটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার, আমি ভাবতেও পারিনি আমার নাম বিরাট কোহলির মনে থাকতে পারে। এটা আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়েছে যে বিরাট ভাই তাহলে আমার খেলা দেখেছে। এরপর থেকে আমি নিজের খেলায় আরও সাবধানী হয়েছি, যাতে ভালো পারফরমেন্স করতে পারি।
আরও পড়ুন-ভারতকে সাপোর্ট করলে হেরে যাচ্ছিল,তাই দঃ আফ্রিকাকে সমর্থন করি! অবাক দাবি জুরেলের
প্যাট কামিন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের তত্তাবোধানে খেলা ভাগ্যের ব্যাপার। কোনও পরিস্থিতিতেই মাথা গরম করে না, সব সময় ঠান্ডা থাকার চেষ্টা করে। এটা খুব কম সময় দেখা যায় ফাস্ট বোলার দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সাফল্য এনে দিচ্ছে। সব সময়ই ট্যাকটিক্যাল চিন্তাভাবনা করে আর মাথা দিয়ে খেলে, এটাই আমার খুব ভালো লাগে প্যাট কামিন্সের, তাই আমি ওনার থেকে সব সময় শেখার চেষ্টা করি ’।
আরও পড়ুন-ডান্সার রোহিতের কোরিওগ্রাফার কুল-চা জুটি! প্রধানমন্ত্রীর কাছে রহস্য ফাঁস হিটম্যানের
নীতীশের কথায়, ‘অলরাউন্ডার হিসেবে খেলার কাজ যথেষ্টই চাপের, কিন্তু আমি কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে পছন্দ করি, এটা আমার সেরা খেলা বের করে আনতে সাহায্য করে। তিন বিভাগেই ভালো খেলতে হয়, তাই সব বিষয়ই সুক্ষ্ণ বিষয়গুলোয় নজর দিতে হয়। বোলিংয়ের দিক থেকে বছরটা আমার আরও ভালো যাওয়া উচিত ছিল, তবে পরেরবার আরও ভালো করার চেষ্টা করব’ ।