বিশ্বকাপ শুরু হতে আর তিন সপ্তাহ। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। যেসব স্টেডিয়ামগুলিতে বিশ্বকাপের আসর বসবে, সেইসব স্টেডিয়ামে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। সফল ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না বিসিসিআইও। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হতেই সব শেষ হয়ে যায়। এমনকী সেমিফাইনাল ম্যাচের টিকিটও সব শেষ হয়ে গিয়েছে।
তবে অনেক সমর্থকই আশা করে রেখেছিলেন অফলাইনে টিকিট কেটে খেলা দেখতে পারবেন তারা। কিন্তু তা হচ্ছে না। বিসিসিআই সূত্রে খবর, শুধুমাত্র অনলাইনেই টিকিট বিক্রি করা হবে। কোনও অফলাইনে টিকিট ছাড়া হবে না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে যারা অনলাইনে টিকিট কেটে ফেলেছেন তারাই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবেন। ইডেনের ক্ষেত্রেও ঠিক একই নিয়ম জারি থাকছে। এবারের বিশ্বকাপে একটি সেমিফাইনাল ছাড়াও ৪টি গ্রুপ পর্বের ম্য়াচ পেয়েছে ইডেন। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান, পাকিস্তান বনাম এবং ইংল্যান্ড এবং ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। এই সব ম্যাচের অধিকাংশ টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। তবে অফলাইনে কোনও টিকিট বিক্রি করা হবে না।
তবে সিএবি সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচে ইডেনের টিকিট সিএবির সঙ্গে যুক্ত ক্লাবগুলিকে দেওয়া হয়। সেই নিয়ম মেনে এবারও টিকিট দেওয়া হবে। তবে কত টিকিট দেওয়া হবে তা যদিও এখনও ঠিক হয়নি। টিকিটের যা চাহিদা রয়েছে তাতে যে পরিমান টিকিট অন্যসব ম্যাচে দেওয়া হত, তার চেয়ে কম সংখ্যক টিকিট দেওয়া হবে। সিএবি-র এক প্রাক্তন কর্তা জানিয়েছেন যে, প্রতি ম্যাচে প্রায় ২০ হাজার টিকিট বণ্টন করে দেওয়া হয়। সিএবি-র সঙ্গে যুক্ত ৯৪টি ক্লাবকে টিকিট দেওয়া হয়। এছাড়াও টিকিট দেওয়া হয় প্রাক্তন ক্রিকেটারদের। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার এখন সিএবি-র সদস্য। এই টিকিট বণ্টন নিয়ে সিএবি-র কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চায় বেশির ভাগ টিকিট অনলাইনে ছাড়া হোক। কিন্তু সদস্যদের টিকিটও দিতে হবে। আর তা নিয়েই বিপাকে পড়েছে সিএবি।
এমনকী সিএবি সভাপতি বিসিসিআই সচিবের সঙ্গেও এই নিয়ে বৈঠক করেছেন। সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সেদিকেই নজর দিচ্ছে বিসিসিআই। এমনকী প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে সিএবি সূত্রে। যদিও এই বিশ্বকাপকে ঘিয়ে ইডেন প্রায় প্রস্তুত। সিএবিও মরিয়া ভালো ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে।