প্যাট কামিন্সের মগজাস্ত্রে রাজস্থান বধ। ছয় বছর পর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে উঠল হায়দরাবাদ। রবিবার চেন্নাইয়ের চিপকে ২০২৪ আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। স্কোরবোর্ডে ১৭৫ রানের পুঁজি নিয়েই এদিন রাজস্থানকে ৩৬ রানে হারিয়ে দেয় কামিন্সের টিম। এদিন সঞ্জু স্যামসনদের হারাতে দুই বাঁ-হাতি স্পিনার অভিষেক শর্মা এবং শাহবাজ আহমেদকে সুকৌশলে ব্যবহার করেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কামিন্স। চিপকের মন্থর পিচকে কাজে লাগিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে এবারের মতো আইপিএল থেকে ছিটকে দিল হায়দরাবাদ।
ভারতের বিশ্বকাপ দলের কোনও সদস্য থাকছেন না আইপিএল ফাইনালে
রাজস্থান রয়্যালসের এই পরাজয়ের অর্থ হল, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে আর কোনও খেলোয়াড়ই এই মরশুমের আইপিএল ফাইনালে খেলবেন না। যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্সের রিঙ্কু সিং রয়েছেন, তিনি ফাইনাল খেলবেন। তবে রিঙ্কু ১৫ সদস্যের দলে নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের যে চার জনের রিজার্ভ দল রয়েছে, তার অংশ রিঙ্কু।
রাজস্থান রয়্যালসের স্কোয়াডে তিন জন খেলোয়াড় ছিলেন, যাঁরা ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দলের অংশ ছিলেন। দলের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ছাড়াও যশস্বী জয়সওয়াল এবং যুজবেন্দ্র চাহাল ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে রয়েছেন। তাই রাজস্থান ছিটকে যাওয়ায় হয়তো টিম ইন্ডিয়ার ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিন্ত হল।
বুধবার যেমন এলিমিনেটর ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ছিটকে গিয়েছে। সেই দলে ছিলেন বিরাট কোহলি এবং মহম্মদ সিরাজ, যাঁরা ভারতের বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। এখন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদে যে সব প্লেয়াররা রয়েছেন, তাঁরা কেউই বিশ্বকাপের ভারতের মূল দলের সদস্য নন।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
শুক্রবার টস জিতে হায়দরাবাদকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠান সঞ্জু স্যামসন। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। বোল্টের ম্যাজিক স্পেলে টপ অর্ডার ধসে যায়। ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নেন এনরিখ ক্লাসেন। তাঁর ৫০ রান (৩৪ বলে) হায়দরাবাদের স্কোরবোর্ডে অক্সিজেন দেয়। এছাড়া ১৫ বলে ৩৭ করেন রাহুল ত্রিপাঠি এবং ২৮ বলে ৩৪ করেন ট্র্যাভিস হেড। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৫ রান করে সানরাইজার্স।
আরও পড়ুন: পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেট, ভুবিকে ছাপিয়ে IPL 2024-এ নয়া রেকর্ড বোল্টের
চিপকের মন্থর পিচকে ব্যাট করতে নেমে ভালো ভাবে বুঝে গিয়েছিলেন কামিন্স। তাই পাওয়ার প্লে শেষ হতেই দুই বাঁ-হাতি স্পিনারকে কাজে লাগান কামিন্স। শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে রাজস্থানকে চাপে ফেলতে আনকোরা অভিষেক শর্মাকে ব্যবহার করেন কামিন্স। এই আইপিএল ব্যাটার অভিষেককে দেখেছে। ঠিক দিনে বল হাতে অধিনায়ক কামিন্সকে ভরসা দিলেন তিনি। শাহবাজ (৩ উইকেট) এবং অভিষেকের (২ উইকেট) জুটিতে এবারের মতো ইতি হয়ে গেল রাজস্থানের। ধ্রুব জুরেলের অপরাজিত ৫৬ রান (৩৫ বলে) কাজে এল না। এছাড়া যশস্বী জয়সওয়াল ২১ বলে ৪২ করেছিলেন। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৯ রানেই শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের ইনিংস। ৩৬ রানে ম্যাচ জেতে হায়দরাবাদ।
২০১০ সালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম বার আইপিএল জিতেছিল হায়দরাবাদ। তখন নাম ছিল ডেকান চার্জার্স। নতুন নামকরণের পর ২০১৬ সালে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদের দল। এবার ফের আর এক অজি তারকার সামনে রয়েছে এসআরএইচ-কে চ্যাম্পিয়ন করার বড় সুযোগ।