টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই লেগে গেল সুরেশ রায়না বনাম শাহিদ আফ্রিদির লড়াই। যদিও এক্ষেত্রে আফ্রিদির হয়ে লড়াইয়ে নামেন পাক সমর্থকরা। এমনকি পাক সংবাদ মাধ্যমের কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় সুরেশ রায়নাকে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করেন। চুপ করে বসে থাকেননি ভারতীয় তারকা। তিনি ছোট্ট কথায় মুখ বন্ধ করে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপ করতে চাওয়া পাক সাংবাদিককে।
আইপিএলে ধরাভাধ্য দেওয়ার সময় সুরেশ রায়না শাহিদ আফ্রিদিকে নিয়ে মস্করা করলে তা ভালোভাবে নেননি পাক ক্রিকেটপ্রেমীরা। শুক্রবার আইসিসির তরফে শাহিদ আফ্রিদিকে আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসাডর ঘোষণা করা হলে এক পাক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় রায়নাকে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি আসলে দেখাতে চান যে, আইসিসি আফ্রিদিকে গুরুত্ব দিয়েছে রায়নাকে নয়।
রায়না অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সজোরে ব্যাট চালান। তিনি মোক্ষম জবাব দেন যে, আইসিসির অ্যাম্বাসাডর না হলেও তাঁর ঘরে ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পদক রয়েছে। সুরেশ এও জানতে চান যে, ২০১১ বিশ্বকাপে মোহালির ভারত-পাক সেমিফাইনালে কী হয়েছিল সেকথা পাক সাংবাদিকের মনে আছে কিনা।
ঘটনার সূত্রপাত কোথায়:-
ক্রিকেটার জীবনে ভারতের প্রায় সব মাঠেই খেলতে নেমেছেন সুরেশ রায়না। তবে কখনও নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর। আমদাবাদে আইপিএল ২০২৪-এর প্লে-অফে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় জিও সিনেমায় তা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন রায়না।
কমেন্ট্রি বক্সে রায়নার সঙ্গে ছিলেন আকাশ চোপড়া ও পার্থিব প্যাটেল। আকাশ চোপড়াই রায়নার কাছে জানতে চান যে, এখন তো ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মও চালু রয়েছে। তাই অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার ইচ্ছা আছে কিনা।
জবাবে সুরেশ রায়না সেই সম্ভাবনা পত্রপাঠ উড়িয়ে দেন। তিনি মজা করে বলেন যে, ‘ফেরার কোনও ইচ্ছা নেই। আমি সুরেশ রায়না, শাহিদ আফ্রিদি নই।’ রায়নার কথা শুনে হো-হো করে হেসে ওঠেন সবাই। রায়না নিজেও হাসতে থাকেন।
পাক সাংবাদিক কীভাবে খোঁচা দেন:-
শুক্রবার আইসিসি আফ্রিদিকে বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসাডর ঘোষণা করার পরে এক পাক সাংবাদিক সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন যে, ‘আইসিসি আফ্রিদিকে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের অ্যাম্বাসাডর নিযুক্ত করেছে। হ্যালো সুরেশ রায়না?’
রায়না কীভাবে জবাবে দেন:-
সুরেশ রায়না সেই টুইটের জবাবে লেখেন, ‘আমি আইসিসির অ্যাম্বাসাডর নই। তবে আমার বাড়িতে ২০১১-র বিশ্বকাপ ট্রফি রয়েছে। মোহালির ম্যাচটার কথা মনে আছে কি? আশা করি আপনার কখনও ভুলতে না পারা কিছু ঘটনার কথা মনে পড়ে যাবে।’