রবিবার কটকে ভারত-ইংল্যান্ড ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পুরেছে রোহিতরা। এদিনের ম্যাচ এক লজ্জার সাক্ষী থাকল। ফ্লাডলাইট বিপত্তির কারণে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকল খেলা। দীর্ঘদিন পর কোনও ওডিআই ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিল ওড়িশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু এই বিপত্তির কারণে তাদের মুখ পুড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টিকে ভালো ভাবে নেয়নি তাদের রাজ্য সরকারও। ঘটনার কারণ দর্শাতে বলেছে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী সূর্যবংশী সুরজ।
রবিবার স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখার সময় মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তিনি। খেলা শেষে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘ওসিএ-র কাছে ফ্লাডলাইট বিভ্রাটের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। সমস্ত রকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এটা কিভাবে ঘটল জানতে চাওয়া হয়েছে।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে সাফাই দিয়েছেন ওড়িশা ক্রিকেট সংস্থার সচিব। তিনি বলেছেন, ‘ফ্লাডলাইটের জন্য দুটি জেনারেটর মজুত রাখা হয়েছিল। একটি যখন খারাপ হয় তখন অপরটি চালু করা হয়। কিন্তু সেটা করতে সময় লাগে। কারণ দ্বিতীয় জেনারেটর এবং ফ্লাডলাইট টাওয়ারের মাঝে খেলোয়াড়দের বাস রাখা ছিল।’ অন্যদিকে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক সোফিয়া ফিরদৌস বলেন, ‘কটকে যেটা ঘটেছে সেটা দুৰ্ভাগ্যজক। পুরো ঘটনাটির তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ফ্লাডলাইটের সমস্যার সূত্রপাত হয় ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পরে। কটকের বারবাটি স্টেডিয়ামের ছ'টি ফ্লাডলাইটের মধ্যে একটি নিভে যায়। কিছুক্ষণ পরে আবার ধীরে-ধীরে জ্বলতে শুরু করে। পুরোপুরি ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠলে খেলা শুরু হয়। কিন্তু ফের বিপত্তি ঘটে। একটা বল খেলেন শুভমন গিল। তারপর আবারও সেই ফ্লাডলাইট নিভে যায়। একবার জ্বলতে থাকে, আবার একবার নিভে যেতে থাকে। এরকম পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দু’দলের খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়েন। প্রায় ৩০ মিনিট বন্ধ থাকার পর শুরু হয় খেলা।
অন্যদিকে কটকে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে ম্যাচ জিতেছে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ৩০৪ রান তোলে ইংল্যাড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। দুরন্ত শতরান করেন রোহিত শর্মা। ৯০ বলে ১১৯ রান করেছিলেন তিনি। মারেন ১২টি চার এবং ৭টি ছয়। ৫২ বলে ৬০ রান করেন শুভমন গিলও। ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ভারত।