গতবার ওয়ান ডে ফর্ম্যাটের এমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান-এ দল। তবে এবার টি-২০ ফর্ম্যাটের এমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা হল না তাদের। সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিতে হল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
শুক্রবার এমার্জিং টিমস টি-২০ এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে সম্মুখসমরে নামে পাকিস্তান-এ দল ও শ্রীলঙ্কা-এ দল। ওমানে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে।
ওপেন করতে নেমে পাকিস্তানের হয়ে কার্যত একা লড়াই চালান ওমর ইউসুফ। তিনি লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ইউসুফ ৪৬ বলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা। বাকিরা কেউই ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
হায়দার আলি ১৫ বলে ১৪ রান করেন। ১২ বলে ১৩ রান করেন মহম্মদ ইমরান। ৮ বলে ১০ রান করেন আরাফত মিনহাস। আব্বাস আফ্রিদি করেন ১১ বলে ৯ রান। ইয়াসির খান ২, ক্যাপ্টেন মহম্মদ হ্যারিস ৬ ও সুফিয়ান মুকিম ৪ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন।
শ্রীলঙ্কা-এ দলের হয়ে ৪ ওভারে ২১ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন দুশান হেমন্ত। ৪ ওভারে ২১ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন নিপুন রণশিকা। এশান মালিঙ্গা ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা-এ দল ১৬.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা-এ দল।
শ্রীলঙ্কার হয়ে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন আহান বিক্রমাসিংহে। তিনি ৪৬ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কা। লাহিরু উদারা ২০ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। যশোদা লঙ্কা ১১, ক্যাপ্টেন নুয়ানিদু ফার্নান্ডো ৯ ও সাহান আরাচ্চিগে অপরাজিত ১৭ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন সুফিয়ান মুকিম ও আব্বাস আফ্রিদি। শ্রীলঙ্কার যশোদা অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্য়াচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন শ্রীলঙ্কার দুশান হেমন্ত।