আইসিসি-র লাল চোখের সামনে দাঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জয়ডেন সিলস এবং কেভিন সিনক্লেয়ার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘন করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজর দুই ক্রিকেটার। এই কারণে সিলসকে তাঁর ম্যাচ ফি-এর ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের ২.২০ অনুচ্ছেদ ভেঙেছেন তিনি। একাদশে জায়গা না পাওয়া সিনক্লেয়ার বদলি ফিল্ডার হিসেবে মাঠে নেমে এমন আচরণ করেছেন যে তাঁকেও শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। আসলে বদলি হিসাবে ফিল্ডিং করতে নেমে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের স্লেজিং করেন তিনি। এরপরে তাঁকেও শাস্তির আওতায় এনেছে আইসিসি।
কী করেছিলেন জয়ডেন সিলস?
১০১ রানে হেরে যাওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মিতব্যয়ী বোলিং করেছিলেন জয়ডেন সিলস। মাত্র ৫ রানে ৪ উইকেট নেন সিলস। প্রায় প্রতিটি উইকেটের পর আগ্রাসী উদযাপন করতে দেখা যায় তাকে। বিশেষ করে লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে তাদের একরকম 'সেন্ড অফ' দেন ২৩ বছর বয়সি পেসার। সিলসের আগ্রাসী আচরণ অব্যাহত থাকে দ্বিতীয় ইনিংসেও। প্রথম ওভারে মাহমুদুল হাসান জয়কে আউট করে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমের দিকে উত্তেজিতভাবে কিছু বলতে থাকেন তরুণ পেসার।
আরও পড়ুন… IND vs AUS 2nd Test: সুন্দর নাকি অশ্বিন, হর্ষিত না আকাশদীপ? ভারতীয় দলে কি একাধিক পরিবর্তন হতে চলেছে?
জয়ডেন সিলসের কী শাস্তি হল?
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে, মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে অসঙ্গত এবং আগ্রাসী ইঙ্গিত করেছিলেন জয়ডেন সিলস। এরপরেই নড়েচড়ে বসে আইসিসি। এই ঘটনাটি ভালো ভাবে নেয়নি তারা। এই ঘটনার কারণেই তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়। জরিমানার সঙ্গে সিলসের শৃঙ্খলা রেকর্ডে এক ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট কারণ ২৪ মাসের মধ্যে এটি তার প্রথম অপরাধ।
কী করেছিলেন কেভিন সিনক্লেয়ার?
অন্যদিকে, ব্যাটিংয়ের সময় কিমার রোচ চোট পাওয়ায় তার বদলি হিসেবে ফিল্ডিংয়ে নামেন সিনক্লেয়ার। বাংলাদেশের ইনিংস শুরুর আগে স্লিপ থেকে নানান কিছু বলতে থাকেন তিনি। আম্পায়াররা কয়েকবার সতর্ক করলেও কোনো লাভ হয়নি। তাই সিনক্লেয়ারকে শাস্তির কারণ হিসেবে আইসিসির বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে আম্পায়ারদের নির্দেশনা অমান্য করার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন… BGT 2024-25: ওকে বল করতে দেখা যাবে- দলের ভয়ঙ্কর অলরাউন্ডারের সুস্থ হওয়ার খবর দিলেন নাথান লিয়ন
কেভিন সিনক্লেয়ারের কী শাস্তি হল?
কেভিন সিনক্লেয়ারকে তার ম্যাচ ফি-এর ১৫ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছে। কারণ তিনি আইসিসি কোড অব কন্ডাক্টের ২.৪ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন। তিনি একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের নির্দেশনা উপেক্ষা করেছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে জরিমানা করার পাশাপাশি, তাঁর রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত করা হয়েছে। আসলে সিনক্লেয়ার অনফিল্ড আম্পায়ারদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাটারদের উদ্দেশ্য করে আক্রমণাত্মক এবং কঠিন ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। কেভিন সিনক্লেয়ারের এই অপরাধা প্রমাণিত হয়েছিল। তারপরেই তাঁকে এই শাস্তি দেয় আইসিসি।
নিজেদের অপরাধ মেনে নিয়েছন দুই ক্রিকেটার-
সিলস এবং সিনক্লেয়ার তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং আইসিসি এলিট প্যানেল অফ ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোয়ের প্রস্তাবিত শাস্তি মেনে নিয়েছেন। ফলে এই শাস্তির জন্য কোনও প্লেয়ার আইসিসি-কে চ্যালেঞ্জ করেনি। ফলে এর জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।