SA20র ম্যাচে এমআই কেপটাউনকে হারিয়ে দিল পার্ল রয়্যালস। এবারের দঃ আফ্রিকার টি২০ লিগে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না এমআই কেপ টাউন দলের। প্রোটিয়াদের লিগে চারটি ম্যাচের মধ্যে এখনও পর্যন্ত দুটিতে জিতেছে এমআই, আর দুটি ম্যাচে তাঁরা হারের মুুখ দেখল। অন্যদিকে পার্ল রয়্যালস দল বদলার ম্যাচ জিতে নিল। এখনও পর্যন্ত এবারে SA20তে তিন ম্যাচে তাঁরা জিতেছে দুই ম্যাচে।
আরও পড়ুন- VHTর ফাইনালের পরই বৈঠক আগরকরদের! ১৯ তারিখই দল ঘোষণা! ২ পজিশন নিয়ে বিস্তর আলোচনা- রিপোর্ট
পার্ল হারাল এবার এমআইকে-
সোমবারই পার্ল রয়্যালসের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল কাজিসো রাবাদাদের এমআই কেপটাউন। সেই ম্যাচে এমআই ফ্র্যাঞ্চাইজি জিতেছিল বিশাল ৩৩ রানে। ফলে বুধবারের ম্যাচ অনেকটা বদলা নেওয়ার মঞ্চ ছিল ডেভিড মিলার, দিনেশ কার্তিকদের কাছে। আর সেই কাজ তাঁরা সেড়ে ফেললেন, এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে নিয়ে।
৯১ রান করেন দাসেন-
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন পার্লসের অধিনায়ক ডেভিড মিলার। এমআই ওপেনার রাসি ভ্যান ডার দাসেন দুরন্ত ইনিংস খেলেন। অপরাজিত ৯১ রান করেন। মারেন ৫টি করে চার এবং ছয়। আজমাতুল্লাহ ওমারজাই দ্রুত আউট হলেও রিজা হেনড্রিক্স ৩০ রান করেন, তবে তিনি খেলেন ২৭ বল। অর্থাৎ অনেক ধীর গতির ইনিংস। ফলে নির্ধারিত সময়ে চার উইকেটে ১৫৮ রান তোলে এমআই। মুজিব উর রহমান ২ উইকেট নেন।
আরও পড়ুন-'ওরা যখন বুঝবে, নিজেরাই সরে দাঁড়াবে! কোহলি-রোহিতের অবসর জল্পনায় বার্তা কপিল দেবের
প্রিটোরিয়াসের অনবদ্য ইনিংস-
কেপটাউনের দলটির বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠে রয়্যালসের ওপেনাররা। ৫২ বলে ৮৩ রান করেন ওপেনার লুহান ড্রি প্রিটোরিয়াস, তাঁকে রান আউট করেন রশিদ খান। জো রুট করেন ১৫ রান। মিচেল ব্যান বারেন করেন ২২, ডেভিড মিলার ২০ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। দীনেশ কার্তিক করেন ৬ বলে ১০ রান। এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছে যায় পার্ল রয়্যালস শিবির। ম্যাচের সেরা হন প্রিটোরিয়াস।
আরও পড়ুন-BGTতে শতরান! IPLএ ৬ কোটি! ধন্যবাদ জানাতে হাঁটু ভেঙে তিরুপতি মন্দিরে উঠলেন নীতীশ রেড্ডি
নরকিয়ার চোট-
শনিবার ১৮ জানুয়ারি পার্ল রয়্যালসের পরের ম্যাচ দুবাই ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে। এদিকে এমআই কেপটাউনও একই দিনে খেলতে নামবে। তাঁদের পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ফ্যাফ ডুপ্লেসিসের জোবার্গ সুপার কিংস। এদিকে এই ম্যাচের আগে বড় ধাক্কা খায় পার্ল রয়্যালস দল। কারণ তাঁদের দলের অন্যতম সেরা ভরসা এনরিখ নরকিয়া চোটের জন্য গোটা মরসুম থেকেই ছিটকে যান।