অবশেষে কিছুটা অক্সিজেন পেল পাকিস্তান। মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে কানাডাকে হারিয়ে সুপার আটের আশা জিইয়ে রাখল তারা। চলতি বিশ্বকাপে এটাই পাকিস্তানের প্রথম জয়। এর আগের দু'টি ম্যাচে আমেরিকা এবং ভারতের কাছে হেরেছে বাবর আজম ব্রিগেড। তবে কানাডাকে হারিয়ে এখনও অঙ্কের হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে রইল পাকিস্তান।
এদিন কানাডার দেওয়া ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৭ রান করে পাকিস্তান। তবে আমেরিকা যেহেতু নেট রানরেটে অনেকটাই এগিয়ে, তাই এই টার্গেট ১৪ ওভারের মধ্যে পূরণ করতে পারলে, বাবররা কিছুটা স্বস্তির জায়গায় থাকতে পারত। কানাডার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিতে নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু তা হয়নি। পরের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় ব্য়বধানে জিততে হবে পাকিস্তানকে। বাড়াতে হবে নেট রানরেট। সেই সঙ্গে আমেরিকাকে হারতে হবে।
আরও পড়ুন: পাকের বিরুদ্ধে চারে ব্যাটিং, কী ভাবে চাপ কাটালেন 'ক্যাপ্টেন' পন্তের সাহায্যে, ফাঁস করলেন অক্ষর
টস জিতে এদিনও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। কানাডার ওপেনার অ্যারন জনসন কিন্তু শুরুটা ভালো করেছিলেন। তবে তাঁকে সঙ্গত দেওয়ার মতো কাউকে পাননি জনসন। তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় কানাডা। এর পর থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে তারা। রানের গতিও কমে যায়। অ্যারন জনসনের ৪৪ বলে ৫২ ছাড়া, বাকিরা তো ১৫ রানের গণ্ডিও ছুঁতে পারেননি। জনসনের এই ইনিংসে ছিল ৪টি করে চার এবং ছক্কা। কানাডার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন কালিম সানা। আটে নেমে তিনি ১৪ বলে অপরাজিত ১৩ করেন। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে গিয়েছেন দলের অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। ২১ বলে ১০ করেছেন তিনি। বাকিদের হাল তথৈবচ। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কানাডা।
পাকিস্তানের হয়ে মহম্মদ আমির এবং হ্যারিস রউফ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং নাসিম শাহ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
এদিন পাকিস্তান রান তাড়া করতে নামলে দেখা যায়, মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে বাবর আজম রান তাড়া করেননি। তিনি তিনে নেমেছিলেন। রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেন করেন সাইম আয়ুব, যিনি চূড়ান্ত নিরাশই করেন। ১২ বলে ৬ করে সাজঘরে ফেরেন সাইম আযুব। তিনে নেমে বাবর আজমও যে আহামরি খেলেছেন, তা নয়। ধুঁকতে ধুঁকতে ৩৩ বলে ৩৩ রান করে আউট হন পাক অধিনায়ক। রিজওয়ান অবশ্য অপরাজিত থেকে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান। কিন্তু তাঁর ইনিংসও কচ্ছপের গতিতেই এগিয়েছে। ২টি চার, একটি ছয়ের হাত ধরে ৫৩ বলে ৫৩ করে তিনি অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে মন্থরতম হাফসেঞ্চুরি করার নজির গড়েন রিজওয়ান। চারে নেমে ফখর জামানও ব্যর্থ হন। তিনি ৬ বলে ৪ করেন। উসমান খান ১ বলে ২ করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ১৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। নেট রানরেটে তাদের খুব একটা লাভ হয়নি। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ডিলন হিলিগার। জেরেমি গর্ডন নিয়েছেন ১ উইকেট।