সম্ভাবনা ছিল। তবে নিদা দারদের ব্যর্থতায় এবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত-পাক লড়াই দেখার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল। ভারত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে উড়িয়ে খেতাবি লড়াইয়ের যোগ্যতা অর্জন করে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আয়োজক শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখার আশায় যাঁরা বুক বেঁধেছিলেন, তাঁদের প্রত্যাশায় জল ঢেলে দেন শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু।
শুক্রবার ডাম্বুলার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৪০ রান সংগ্রহ করে। ওপেন করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন মুনিবা আলি। ৩৪ বলের ইনিংসে তিনি ৫টি চার মারেন। অপর ওপেনার গুল ফিরোজা করেন ২৪ বলে ২৫ রান। তিনি ৩টি চার মারেন।
ক্যাপ্টেন নিদা দার ১৭ বলে ২৩ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ২৩ রান করে নট-আউট থাকেন ফতিমা সানা। এছাড়া সিদরা আমিন ১৩ বলে ১০ রান করেন। ১৫ বলে ১৬ রান করেন আলিয়া রিয়াজ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন উদেশিকা প্রবধনী। ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন কবিশা দিলহারি। চামারি আতাপাত্তু ১ ওভারে ১১ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শেষ ওভারের থ্রিলারে জয় তুলে নেয়। তারা ১৯.৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪১ রান সংগ্রহ করে নেয়। অর্থাৎ, ১ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে শ্রীলঙ্কা।
ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু ৪৮ বল ৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে আউট হন। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২২ বলে ২৪ রান করে নট-আউট থাকেন অনুষ্কা সঞ্জীবনী। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া কবিশা দিলহারি ১৮ বলে ১৭ রান করেন। ১৩ বলে ১২ রান করেন হর্ষিতা সমরাবিক্রমে। ৯ বলে ১০ রান করেন সুগন্দিকা কুমারি।
পাকিস্তানের হয়ে সাদিয়া ইকবাল ৪ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। ১টি করে উইকেট নেন নিদা দার ও ওমাইমা সোহেল। ম্যাচের সেরা হন আতাপাত্তু। আগামী ২৮ জুলাই, রবিবার চলতি মহিলা এশিয়া কাপের ফাইনালে সম্মুখসমরে নামবে ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
উল্লেখ্য, এর আগে পাঁচবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় দল। ২০২২ সালের গত এশিয়া কাপের ফাইনালেও শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে ভারত।