হতে পারে ভিন্ন ফর্ম্যাটে, তবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কচুকাটা হয়ে আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা লাগল অস্ট্রেলিয়ার। এমনটা নয় যে, নিতান্ত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ খেলতে নামে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বরং সিরিজের প্রথম ২টি ম্যাচে কার্যত পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই মাঠে নামে অজিরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের স্বাদ নিয়েই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রস্তুতি শিবিরে যান কামিন্সরা।
রবিবার পাকিস্তানের কাছে সিরিজের তৃতীয় কথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে কার্যত আত্মসমর্পণ করে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দেন মহম্মদ রিজওয়ানরা। কামিন্সের ব্যাটে ভর করে কেবল সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে কোনও রকমে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। শেষমেশ ১-২ ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে ওয়ান ডে সিরিজ হারে অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স প্রথম ম্যাচে প্রতিরোধ না গড়লে নিজেদের ডেরায় হোয়াইটওয়াশ হতে হতো অজিদের।
রবিবার পারথে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান পাক দলনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান। অস্ট্রেলিয়া শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৪০ রানে অল-আউট হয়ে যায়। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৩১.৫ ওভার।
আরও পড়ুন:- WBBL 2024: মেয়েদের ক্রিস গেইল! চার-ছক্কার ঝড়ে T20 ম্যাচে ১৫০ লিজেল লি'র- ভিডিয়ো
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান করেন শন অ্যাবট। ৪১ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ৩০ বলে ২২ রান করেন ওপেনার ম্যাথিউ শর্ট। তিনি ১টি চার মারেন। বাকিদের মধ্যে দুই অঙ্কের রান বলতে অ্যারন হার্ডির ১২, অ্যাডাম জাম্পার ১৩ ও স্পেনসার জনসনের অপরাজিত ১২।
পাকিস্তানের হয়ে ৮.৫ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি। ৯ ওভারে ৫৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন নাসিম শাহ। ৭ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন হ্যারিস রউফ। ৭ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন হাসনাইন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২৬.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৩৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৫২ বলে ৪২ রান করে আউট হন সইম আয়ুব। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৫৩ বলে ৩৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন অবদুল্লা শফিক। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
বাবর আজম ৩০ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার মারেন। ২৭ বলে ৩০ রান করে নট-আউট থাকেন ক্যাপ্টেন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২টি উইকেটই নেন মরিস।
দীর্ঘ ২২ বছর পরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ান ডে সিরিজ জেতে পাকিস্তান। ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন হ্যারিস রউফ। তিন ম্যাচে সাকুল্যে ১০টি উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতে নেন হ্যারিস।