শুভব্রত মুখার্জি:- অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট। কোনও কিছুই যেন ঠিক চলছে না সেই দেশের ক্রিকেটে। আর কয়েকমাস পরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করবে তারা। তার আগে দলের ছন্নছাড়া অবস্থা প্রকট। লাল বলের ফর্ম্যাট অর্থাৎ টেস্ট ক্রিকেট হোক কিংবা সাদা বলের ফর্ম্যাট ওডিআই অথবা টি-২০ ক্রিকেট, সবেতেই বেশ খারাপ পারফরম্যান্স জাতীয় সিনিয়র পুরুষ দলের।
কয়েকমাস আগেই বদল করা হয়েছে জাতীয় দলের কোচ। লাল বলের ফর্ম্যাটে দায়িত্ব নিয়েছেন জেসন গিলেসপি এবং সাদা বলের ফর্ম্যাটে দায়িত্ব নিয়েছেন গ্যারি কার্স্টেন। তাঁদেরকে নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং সম্প্রতি আয়োজন করেছিল পিসিবি। তাতে দুই কোচ স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা এক্ষুনি অধিনায়ক পরিবর্তনের পক্ষে নন। বরং তারা সাদা বলের ফর্ম্যাটের অধিনায়ক বাবর আজম এবং লাল বলের ফর্ম্যাটের অধিনায়ক শান মাসুদকে আরও বেশি করে সময় দিতে চান।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দলের কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে পাকিস্তানকে। তার পরেই ঘরে বাইরে চাপ বেড়েছে ক্রিকেটার, কোচ থেকে কর্মকর্তা সকলের উপরে। এর পরেই জাতীয় দলের নেতৃত্ব নিয়ে একটি স্ক্রুটিনি করা হয় পিসিবির তরফে। সেখানেই কার্স্টেন-গিলেসপি দুজনেই নাকি দাবি করেছেন তাঁরা দুই ফর্ম্যাটের দুই অধিনায়ককেই সময় দেওয়ার পক্ষপাতী।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে উঠতে পারেনি পাকিস্তান দল। তার পরেই বাবর আজমকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানো হয়েছিল। একটি সিরিজের জন্য সাদা বলের ফর্ম্যাটে অধিনায়কত্ব করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। তার পরে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ফের সাদা বলের ফর্ম্যাটে অধিনায়ক করে ফেরানো হয় বাবর আজমকে। তবে টি-২০ বিশ্বকাপেও পাকিস্তান দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এর পরেই প্রবলভাবে সমালোচিত হয় বাবরের অধিনায়কত্ব।
পিসিবির একটি সূত্র সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে, ‘পিসিবি তার কোচেদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল। এই মুহূর্তে আমরা এই বিষয়ে কোনও রকম বদলের ভাবনা করছি না। পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি পুরো বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন দুই কোচের উপর। দুই কোচ জানিয়েছেন তাঁরা দুই অধিনায়ককে আরও বেশি সময় দেওয়ার পক্ষপাতী। কার্স্টেন এবং গিলেসপি দুজনেই চান যে, অধিনায়ক হিসেবে বাবর এবং শানের ক্ষমতা যাচাই করতে আরও বেশি সময় দেওয়া হোক।’
পিসিবি একটি অভিনব 'কানেকশন ক্যাম্প' আয়োজন করতে চায় তাদের সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে। তার পরেই পিসিবি বিভিন্ন বিষয় সংস্কারের উদ্যোগ নেবে বলে জানা গিয়েছে।