চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জলঘোলা কিছুতেই থামছে না। এখনও পর্যন্ত টালবাহানা অব্যাহত আইসিসির এই প্রতিযোগিতা নিয়ে। কথা ছিল আইসিসির একটি বৈঠক হবে ডিসেম্বরের শুরুতে, যদিও পরে সেটা পিছিয়ে যায়। ভারত-পাকিস্তানের নিজেদের মধ্যে ঝামেলার জন্য আইসিসির চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই কার্যত ফরম্যাট পরিবর্তন করতে বাধ্য হতে পারে।
টি২০ ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি?
শোনা যাচ্ছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজের চেনা ৫০ ওভারের ফরম্যাট থেকে পরিবর্তিত হয়ে টি২০ ফরম্যাটেও আয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে সম্প্রচারকারী সংস্থার সুবিধা হবে প্রতিযোগিতার প্রচার পর্ব সাড়তে। কারণ এযাবৎকালে ওডিআইয়ের থেকে টি২০ ক্রিকেট মানুষের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়ায়, ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এই ফরম্যাটই সম্প্রচারকারীদের বেশি পছন্দ। আর বিশেষত অনেকটা দেরি করে ফেলায় সূচি প্রকাশে।
আরও পড়ুন-‘ ওর ওপর যা রাগ হয়েছিল না…’! বিশ্বকাপ ফাইনালের পর PSGতে মেসি দেখে কি করেন এমবাপে?
আইসিসির সিদ্ধান্তে চাপে পড়বে পাকিস্তান-
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী যদি পরিস্থিতি এরকমই থাকে, তাহলে আইসিসির সঙ্গে জড়িত এই প্রতিযোগিতার স্টেক হোল্ডাররা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ৫০ ওভারের ফরম্যাট থেকে টি২০ ফরম্যাটে পরিবর্তন করতে বলতে পারে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানেরও মাথা ব্যাথার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ এই সিদ্ধান্ত যদি আইসিসি নেয়, সেক্ষেত্রে পাকিস্তান যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে সরে দাঁড়াতে চায়, তাহলে তাঁরা পড়বে বিপদের মুখে।
আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গলের পর মহমেডান! বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল বাংলা...
পাকিস্তানকেও ছাড়বে না আইসিসি-
৫০ ওভারের ফরম্যাটে হওয়ার কথা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। আর সেই প্রতিযোগিতা ফেবরুয়ারি, মার্চে আয়োজন করার ব্যাপারে চুক্তি সই করেছিল পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে তাঁরা আইনি জটিলতায় যেমন পড়বে, তেমন আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবে। কারণ আইসিসির তরফেও তাঁদের ছেড়ে কথা কথা বলা হবে না সেক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন-‘সিরিজের গুরুত্ব অনেক,তাই…' হেড-সিরাজ বিতর্ক স্পোর্টিংলি নিচ্ছেন অজি অধিনায়ক…
পাকিস্তান এমপিএ-তে সই করেছে-
একজন বর্ষিয়ান ক্রিকেট প্রশাসক জানিয়েছেন, ‘আইসিসির সঙ্গে পাকিস্তান শুধু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দেশ হিসেবেই চুক্তি সই করেনি, বাকি সমস্ত দেশের মতো তাঁরা মেম্বার্স পার্টিসিপেশন অ্যাগ্রিমেন্টেও সই করেছে(অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছে তাঁরা) ’।
আইসিসিও চাপের মুখে-
সেই ক্রিকেট প্রশাসক জানিয়েছেন, ‘যে কোনও সদস্য দেশ, মেম্বার্স পার্টিসিপেশন অ্যগ্রিমেন্টে সই করার পরই আইসিসির থেকে লাভের অংশ পেয়ে থাকে। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যখন আইসিসি সম্প্রচারকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে, তখন তাঁদেরকেও নিশ্চিত করতে হয় যে সমস্ত আইসিসির সদস্য দেশই এই প্রতিযোগিতা খেলার জন্য তৈরি রয়েছে(একই নিয়ম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও) ’।