পাকিস্তান ক্রিকেট দলে চলছে অন্যতম খারাপ সময়। ২০০৭ সাল নাগাদ পাক দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর একটা অন্ধকার সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁদের। মাঝে সরফরাজ আহমেদ-শাহিদ আফ্রিদি-মিসবাহ উল হক-শোয়েব মালিকদের হাত ধরে কিছুটা ভালো সময় এসেছিল যখন টি২০ বিশ্বকাপ বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো পারফরমেন্স করেছিল পাক দল। বাবর আজমও দলের দায়িত্ব নিয়ে তুলেছিলেন টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে।
তবে সাম্প্রতিক সময় বাবর আজম-শান মাসুদের দলের যা পারফরমেন্স তা দেখে চোখে জল চলে আসতে বাধ্য ওয়াসিম আক্রম, ইনজামাম উল হকের মতো কিংবদন্তিদের। শাহিন আফ্রিদিদের বোলিং বা শান মাসুদদের ব্যাটিং দেখে ওয়াকার ইউনিস বা সঈদ আনোয়ারও ভাবতে পারেন,তাঁরা এই বয়েস এদের থেকে ভালো খেলবেন। তাই ফিটনেস নিয়েই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল পিসিবি। বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় আসতে গেলে ক্রিকেটারদের পাস করতে হবে ফিটনেস টেস্ট, জারি হল নতুন ফরমান।
আরও পড়ুন-গ্রামের মানুষ ক্রিকেটের নাম শুনলে রেগে যেত! এখন সেখানেই তিনি হিরো! বলছেন RCB তারকা
বাংলাদেশের বিপক্ষে লজ্জাজনকভাবে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পাক ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কদিন আগেই পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি বলেছিলেন দেশের ক্রিকেটে বদল আসছে, কিন্তু সেটা দেখা যাচ্ছে না। এমন পারফরমেন্স করলে বদল দেখা যাবেই বা কি করে। কারণ শান মাসুদ-বাবর আজমরা তো সত্যিই দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসই বদলে দিয়েছেন।
যে বাংলাদেশকে এক সময় বলে বলে হারাত পাকিস্তান, তাদের কাছে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচেই লজ্জাজনকভাবে হেরেছে পাকিস্তান। লড়াই দিয়ে হারলে তাও কথা বলার জায়গা থাকত। এই আবহেই এবার ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পিসিবি। কোচ গ্যারি কার্স্টেন স্পষ্টতই নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছেন খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে।
সেপ্টেম্বরের ৬ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত লাহোরে ক্রিকেটারদের ফিটনেস মনিটরিং করবেন সাদা বলের কোচ গ্যারি কার্স্টেন, দলের ফিজিকাল ট্রেনার এবং ফিজিও থেরাপিস্ট। পিসিবির এক সূত্র জানিয়েছে, ‘পারফরমেন্সের পাশাপাশি ফিটনেস টেস্ট থেকে নির্ধারণ করা হবে কারা পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় আসবে। পাকিস্তানের সাদা বল এবং লাল বলের দুই কোচ জ্যাসন গিলেসপি এবং গ্যারি কার্স্টেন নির্বাচকদের স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন ফিটনেসের ওপর নির্ধারণ করেই যেন ক্রিকেটার বাছাই করা হয় ’।
সেই সূত্র আরও জানিয়েছে, ‘সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ টেস্টে পাকিস্তান দলের হারের অন্যতম কারণ হিসেবে কোচ জ্যাসন গিলেসপি মনে করেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ফিটনেসের অভাব। সেই কারণেই তাঁরা ম্যাচের প্রত্যেক সেশনে ়লড়াই দিতে পারেননি। তাই ফিটনেস টেস্টে জিম ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি দৌড়, পেশীশক্তি পরীক্ষা, ইয়ো ইয়ো টেস্ট সবই রাখা হচ্ছে’। এখনও পর্যন্ত ২৭জন ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রাখা হলেও গত একবছরে লাগাতার খারাপ পারফরমেন্সের জেরে সেই তালিকাতেও কাটছাঁট হতে চলেছে।