আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিসিসিআই ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে চলা ঠান্ডা লড়াইয়ের রেশ গিয়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকায়। এই মুহূর্তে সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে ভারতের টি-২০ দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ব্যস্ত রয়েছে। সেখানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারতের পাকিস্তানে যেতে না চাওয়া নিয়ে জবাবদিহি করতে হল টিম ইন্ডিয়ার টি-২০ ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদবকে।
যদিও এক্ষেত্রে সূর্যকুমার পাক অনুরাগীর প্রশ্নের হাসিমুখে জবাব দেন। জানিয়ে দেন ভারতীয় দলের পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলতে না যাওয়ার আসল কারণ। সূর্যর উত্তর শোনার পরে প্রশ্ন তোলা ক্রিকেটপ্রেমীর আর বলার কিছু ছিল না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিয়োয় দেখা যায় রিঙ্কু সিংকে সঙ্গে নিয়ে সূর্যকুমার যাদব কয়েকজন ক্রিকেটপ্রেমীর ছবি তোলার আবদার মেটাচ্ছিলেন। ছবি তোলা হয়ে গেলে এক পাক ক্রিকেটপ্রেমী সূর্যকুমারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘একটা কথা বলতে পারবেন, আপনারা কেন পাকিস্তানে যাচ্ছেন না?’ সূর্যকুমার হেসে জবাব দেন যে, ‘বিষয়টা আমাদের হাতে নেই।’
উল্লেখ্য, ২০২৫-এর শুরুতেই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে যে পাকিস্তানে যাবে না, সেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল শুরু থেকেই। শেষমেশ সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়। বিসিসিআইয়ের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সরকারি অনুমতি নেই। তাই টিম ইন্ডিয়া পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না।
সুতরাং, পিসিবির সামনে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা ছাড়া উপায় নেই। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টে ভারত তাদের ম্যাচগুলি খেলবে পাকিস্তানের বাইরে। এক্ষেত্রে প্রথম পছন্দের বিকল্প হিসেবে আমিরশাহির নামই সামনে আসছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এমন সম্ভাবনার কথা শুরু থেকেই জানত। তা সত্ত্বেও তারা শেষ মুহূর্তে পালটা চাপ তৈরির খেলায় নেমেছে। পাক ক্রিকেট বোর্ডের তরফে প্রছন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে যে, ভারত যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যায়, তবে তারাও নাম তুলে নিতে পারে টুর্নামেন্ট থেকে। যদিও পিসিবির তরফে এটা তাদের সিদ্ধান্ত নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বরং বলা হচ্ছে যে, পাকিস্তান সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। সরকারি তরফেই নাকি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে এমন বিকল্প ভাবনার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুধু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডই নয়, বরং আইসিসিও আগে থেকেই জানত যে, ভারতীয় দল সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। সেই কারণেই টুর্নামেন্টের বাজেট ঘোষণার সময় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করা হয়, যাতে হাইব্রিড মডেলে ২টি দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা যায়।