টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটিও উইকেট পাননি। একটি ম্যাচে দলে জায়গাও হয়নি। সেখান থেকে লঙ্কা প্রিমিয়র লিগে এসেই হ্যাটট্রিক করলেন পাকিস্তানের শাদাব খান। তাঁর সেই হ্যাটট্রিকের সুবাদে মঙ্গলবার ক্যান্ডি ফ্যালকনকে ৫১ রানে হারিয়ে দিল কলম্বো স্ট্রাইকার্স। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাদাব খান। সবমিলিয়ে চার ওভারে ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়েছেন। আর ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২০ রান করেছেন। যদিও বিশ্বকাপ খেলে ফেরা রহমানউল্লাহ গুরবাজের দিনটা ভালো যায়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পরে লঙ্কা প্রিমিয়র লিগের প্রথম ম্যাচে ১০ বলে ১৭ রানে আউট হয়ে যান আফগানিস্তানের তারকা ওপেনার।
ক্যান্ডির বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাটিং কলম্বোর
মঙ্গলবার প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৯৮ রান তোলে কলম্বো। সর্বোচ্চ ২৬ বলে ৪৮ রান করেন সাদিরা সমরাবিক্রমা। সাতটি চার এবং একটি ছক্কা মারেন। ৩০ বলে ৩৮ রান করেন কলম্বোর অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ১৮ বলে ৩২ রান করেন মহম্মদ ওয়াসিম। ১০ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন চামিকা করুণারত্নে। ক্যান্ডির হয়ে দুটি করে উইকেট পান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং কাসুন রজিথা। হাসারাঙ্গা চার ওভারে ৩০ রান খরচ করেন। কিন্তু রজিথা বেধড়ক মার খান। তিন ওভারে খরচ করেন ৫৬ রান।
রান তাড়া শুরু ক্যান্ডির
সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা নেহাত মন্দ হয়নি ক্যান্ডির। কিন্তু ১৩.৫ ওভারে চার উইকেটে ১৪০ রান থেকে ১৫.৫ ওভারে ১৪৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় ক্যান্ডি। ১৪ তম ওভারের শেষ বলে আউট হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তারপর ১৫ তম ওভারের শেষে তিনটি বলে তিন উইকেট নেন শাদাব। আর ১৬ তম ওভারের পঞ্চম বলে ক্যান্ডির শেষ উইকেটটা পড়ে যায়।
ওয়েলালাগেকে ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন শাদাব
কলম্বোর হয়ে চারটি করে উইকেট পান শাদাব এবং দুনিথ ওয়েলালাগে। শাদাব যেখানে চার ওভারে ২২ রান দেন, সেখানে ৩.৫ ওভারে ২০ রান দেন শ্রীলঙ্কার বোলার। একটি উইকেট পান বিনুরা ফার্নান্দো। তবে ব্যাটিংয়েও ২০ রান করার সুবাদে শাদাবকে ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শাদাব খানের পারফরম্যান্স
এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটি ম্যাচে খেলেন শাদাব। আমেরিকার বিরুদ্ধে ২৫ বলে ৪০ রান করেন। তিন ওভার বল করে ২৭ রান দেন। ভারতের বিরুদ্ধে বল জোটেনি। চার রান আউট হয়ে যান। কানাডা ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। আর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে কোনও রান করতে পারেননি। বল হাতে এক ওভারে ১১ রান খরচ করেন।