জিম্বাবোয়েকে পাকিস্তান দল ৫৭ রানে হারিয়ে দিল প্রথম টি২০ ম্যাচে। সিরিজ শুরুর প্রথম ম্যাচেই পাকিস্তান দল সহজেই জিতে নিল। একদিনের সিরিজ আগেই জিতেছিল পাকিস্তান দল। ফলে সাদা বলের সিরিজে জোড়া সিরিজ জয়ের টার্গেটই রয়েছে পাকিস্তানের সামনে। তাঁর মধ্যে প্রথম টি২০তেই দুরন্ত জয় পেল পাকিস্তান দল।
আরও পড়ুন-ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
টস জিতে পাকিস্তান দল প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁরা ৪ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। জবাবে ব্য়াট করতে নেমে জিম্বাবোয়ে দল ১৫.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে যায়। ফলে ৫৭ রানের বড় ব্যবধানেই তাঁরা জিতল জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ হারের পর এই ফরম্যাটে ফের জয়ে ফিরল পাকিস্তান দল।
একটা সময় পাকিস্তান দলের অবস্থা খুব ভালো ছিল না। ১৪.২ বলে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১০০। অর্থাৎ তখনও রান খুব বেশি ছিল না পাকিস্তানের। এরপরেই ইরফান খান এবং তাইয়াব তাহির নিজেদের মধ্যে ৬৫ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলে। তাহির অপরাজিত ৩৯ রান করেন, মারেন ১টি ছয় ও চারটি চার। উসমান খানও ৩৯ রান করেন, মারেন ২টি ছয় এবং চারটি চার।
আরও পড়ুন -তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন
ইরফান খানও ১৫ বলে ২৭ রান করেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর জিম্বাবোয়ের সিকান্দার রাজা বলছেন, ‘শেষদিকে ৪০ রান বেশি দিয়ে ফেলায় আমাদের মোমেন্টাম ঘুরে গেছিল। তবে মাত্র ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া আমাদের জন্য মেনে নেওয়া খুবই কঠিন কাজ। ’। ব্যাট হাতেও ৩৯ রান করে জিম্বাবোয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন সিকান্দার রাজাই।
জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক রাজা অবশ্য চার ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেটও তুলে নেন। তবে ১০৮ রানে জিম্বাবোয়ে অলআউট হয়ে যায়। সুফিয়ান মুকিম চার ওভার হাত ঘুরিয়ে তুলে নেন ৩০ রানে ৩ উইকেট। আব্রার আহমেদও ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। হরিস রাউফ জোড়া উইকেট নেন। ৩ ডিসেম্বর ফের মুখোমুখি হবে দুই দল।