পাকিস্তান ক্রিকেট দলে এসেছে এক বিরল পরিবর্তন। সম্প্রতি পাক ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলাদা ফরম্যাটে, আলাদা কোচের। সচরাচর যা দেখা যায় না। যে কোনও ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রেই স্প্লিট ক্যাপ্টেন্সি সাম্প্রতিক ক্রিকেটে চলে আসছে। অর্থাৎ বিভিন্ন ফরম্যাটে বিভিন্ন অধিনায়ক, তবে কোচিংয়ের ক্ষেত্রেও সিমিত ওভার এবং টেস্টের সঙ্গে ভাগাভাগি করে দিয়েছে পাক ক্রিকেট বোর্ড। সিমিত ওভারের ক্রিকেটের দায়িত্ব বহাল থেকেছেন দঃ আফ্রিকার গ্যারি কার্স্টেন। আর টেস্টের ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার তারকা জ্যাসন গিলেসপিকে, যিনি এই দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত রয়েছেন। দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়েই এবার এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন তিনি।
বর্তমানে পাকিস্তান দলের রাওয়ালপিন্ডিতে ক্যাম্প চলবে, সেখানেই তাঁরা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলতে নামার আগে প্রস্তুতি নেবেন। আগামী ২১ অগাস্ট থেকে শুরু হবে বাংলাদেশের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ। পরিসংখ্যান বলছে গত ১৫টি টেস্ট ম্যাচে মাত্র ৩টিতে জিতেছে পাকিস্তান, তাও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। হেরেছে ৮টি টেস্টে, বাকি চারটি টেস্ট ড্র। এহেন খারাপ ট্র্যাক রেকর্ডই বদলানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ টেস্ট দলের কোচ জ্যাসন গিলেসপির কাছে।
জ্য়াসন গিলেসপি বলছেন, ‘আমি চাই পাকিস্তানের মানুষ এবং পাকিস্তানের মিডিয়া জাতীয় দলের খেলা দেখে বলুক, এরকম স্টাইলে দলের ক্রিকেট খেলা উচিত। সব থেকে সহজ উদাহরণ হচ্ছে ইংল্যান্ড। এখন কারো কোনও সন্দেহ নেই যে ইংল্যান্ড কেমন ক্রিকেট থেকে। সকলেই জানে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের মাইন্ডসেট হিসেবে। আমি এটাই আমার দলের মধ্যে আনতে চাই। আমি চাই না কোচ হিসেবে দলে যোগ দিয়ে শুধুই এটা করতে চাই বা ওটা করতে চাই বলব। আমার কাজ দলের সকলকে সাপোর্ট করা আর ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে নিয়ে আসা ’।
সদ্য কয়েকদন ক্রিকেটার বিদেশি লিগে খেলার ছাড়পত্র পাননি। সেই নিয়ে পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ বলছেন, ‘ক্রিকেটাররা কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রয়েছে। তাঁরা ভালোই টাকা পাচ্ছে বোর্ডের থেকে, তাই আমাদের অধিকার রয়েছে ক্রিকেটারকে ফিটনেসের জন্য বিরতি নিতে বলার, যাতে তাঁদের পারফরমেন্স উন্নতি হয় আর পাকিস্তানের পরের সিরিজের জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে পারে ক্রিকেটাররা। আমরা চাই ক্রিকেটাররা লিগে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন কিন্তু পাকিস্তানের কথাও তো ভাবতে হবে। পরে এই নিয়ে সৎভাবে কিছু আলোচনা আরও করতে হবে, কিন্তু এই মূহূর্তে পাকিস্তান ক্রিকেটের যা দরকার সেটাই করা হয়েছে ’।