২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আমেরিকার কাছে সুপার ওভারে হেরে লজ্জায় মুখ পুড়িয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। নবাগত টিমের কাছে শোচনীয় হারটা নিঃসন্দেহে বাবরদের কাছে ড় ধাক্কা হয়েছে। এমন কী এই হারের পর, তাদের সুপার আটে ওঠা নিয়েও উঠে গিয়েছে প্রশ্ন!
পাকিস্তানের হারে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ওয়াসিম আক্রম। বিশ্বক্রিকেটে নবাগত আমেরিকার কাছে বাবরদের এই পরাজয়কে লজ্জাজনক বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আক্রম। পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, এমন পারফরম্যান্স থাকলে বাবরদের নকআউটে যাওয়া খুবই কঠিন হবে।
আরও পড়ুন: আমেরিকার পর এবার কানাডার চমক, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে পল স্টার্লিংরা লিখলেন ইতিহাস
শোচনীয় হার
স্টার স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে আক্রম বলেছেন, ‘শোচনীয় হার। জয়-পরাজয় খেলার একটি অংশ ছিকই, তবে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য খুব খারাপ হল।’
সুপার আটে ওঠা কঠিন হল
এখানে না থেমে আক্রম আরও বলেছেন যে, ‘এখান থেকে সুপার এইটে ওঠাটা পাকিস্তানের জন্য কঠিন হয়ে গেল। কারণ, এর পর ভারতের সঙ্গে (৯ জুন) খেলতে হবে আমাদের। এছাড়া আরও দু'টি ভালো দলের (আয়ারল্যান্ড ও কানাডা) মুখোমুখি হতে হবে।’
আরও পড়ুন: একেই অপ্রত্যাশিত হার, তার উপর রউফের বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ আনলেন আমেরিকার পেসার
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট
১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য মনে করেন যে, আমেরিকার প্রথম দিকে উইকেট তুলে নেওয়াটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। পাওয়ার প্লে-তেই পাকিস্তানের ৩০ রানে তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল। যদিও অধিনায়ক বাবর আজম এবং শাদাব খান চতুর্থ উইকেটে ৭২ রান যোগ করেছিলেন, তার পরেও তাঁরা স্কোরবোর্ডে খুব বেশি গতি যোগ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: রোহিতের চোট নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বুমরাহ পত্নী
আক্রম বলেছেন, ‘আমেরিকা যে ভাবে শুরুর দিকে উইকেট পেয়ে যায়, সেটাই খেলার টার্নিং পয়েন্ট হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তান বাবর এবং শাদাবের হাত ধরে কিছুটা পার্টনারশিপ গড়ে লড়াই করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার পরে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। ফিল্ডিং গড়ের নীচেই ছিল। পাকিস্তানের সামগ্রিক ভাবে খুব সাদামাটা ক্রিকেট খেলেছে।’
সুপার ওভারে ১৯ রানের লক্ষ্যে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ
আক্রম যখন খেলতেন, তখন তাঁর বলে কেঁপে যেত বিপক্ষের ব্যাটাররা। ডেথ ওভারে ভয়ানক বোলার ছিলেন। অথচ তাঁর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেভাবে সুপার ওভারে ১৮ রান বিলিয়েছেন, তা দেখে তিনি বিরক্ত। বলেছেন, ‘প্রথম ইনিংস দেখার পর সকলেই ভেবেছিলাম, পাকিস্তান জিতবে। আমিও অন্য কিছু ভাবতে পারিনি। তবে সুপার ওভারে ১৯ রানের লক্ষ্য দেওয়া মানে, আসলে তা ৩৬ রান করার সামিল। ভালো খেলেছে আমেরিকা।’