Cricketer Dies: তীব্র গরমে ব্যাট করার সময়ে অসুস্থ হয়ে মাঠেই প্রাণ হারান পাক বংশোদ্ভূত অজি ক্রিকেটার

Cricketer Junail Zafar Khan Dies during Match: শনিবার অ্যাডিলেডে তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালেও ম্যাচটি চালিয়ে যাওয়া হয়। জুনেইল জাফর খান ৪০ ওভার ফিল্ডিং করার পর সাত ওভার ব্যাটিং করেন এবং পরে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ও পরে মারা যান।

Pakistani-origin cricketer dies: তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু, মাঠেই প্রাণ হারালেন পাকিস্তানের বংশোদ্ভূত অজি ক্রিকেটার জুনেইল জাফর খান। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এক ম্যাচ চলাকালীন অস্ট্রেলিয়ার এই পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই সময়ে মাঠের তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বিকেল ৪টার দিকে, এবং দ্রুতই একটি অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।

জুনেইল জাফর খান, যিনি ওল্ড কনকর্ডিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য ছিলেন, ম্যাচে ৪০ ওভার ফিল্ডিং করার পর প্রিন্স আলফ্রেড ওল্ড কোলেজিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। news.com.au জানিয়েছে, তিনি ২০১৩ সালে পাকিস্তান থেকে অ্যাডিলেডে চলে আসেন এবং প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করতেন। Daily Mail জানিয়েছে, রমজান মাসে রোজা থাকা সত্ত্বেও, তিনি শরীর খারাপ লাগার কারণে সারা দিন জল পান করছিলেন, যা ইসলামে অনুমোদিত।

ওল্ড কনকর্ডিয়ান্স ক্রিকেট ক্লাব গভীর শোক প্রকাশ করে জানায়, ‘আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের ক্লাবের একজন মূল্যবান সদস্য দুঃখজনকভাবে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে মৃত্যুবরণ করেন। প্যারামেডিকদের চেষ্টার পরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আমরা তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সতীর্থদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তীব্র গরমে ম্যাচ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন

অ্যাডিলেড টার্ফ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন চরম আবহাওয়া সংক্রান্ত কিছু নিয়ম প্রণয়ন করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে ম্যাচ বাতিল করা হবে। তবে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় ম্যাচ চালিয়ে যাওয়া যাবে, কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য অতিরিক্ত বিশ্রাম ও জলপানের বিরতি দিতে হবে।

এই নিয়ম থাকা সত্ত্বেও, শনিবার অ্যাডিলেডে তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালেও ম্যাচটি চালিয়ে যাওয়া হয়। জুনেইল জাফর খান ৪০ ওভার ফিল্ডিং করার পর সাত ওভার ব্যাটিং করেন এবং পরে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

জুনেইল জাফর খানকে বাঁচানোর জন্য প্যারামেডিকরা সিপিআরসহ বিভিন্ন চেষ্টা করলেও, তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ক্লাবের সহ-সদস্য হাসান আনজুম বলেন, ‘তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ এবং উদ্যমী ছিলেন। তিনি সবসময় হাসি-খুশি থাকতেন এবং আশেপাশের মানুষদের আনন্দিত করার চেষ্টা করতেন। তার মৃত্যু বিশাল ক্ষতি, কারণ তিনি জীবনে অনেক বড় কিছু করার সামর্থ্য রাখতেন।’

ইসলামিক সোসাইটি অফ সাউথ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি আহমেদ জরেইকা তার পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করা হয়নি। আমাদের উচিত চিকিৎসকদের তাদের কাজ করতে দেওয়া এবং অনুমান না করা।’ এই মর্মান্তিক ঘটনা ক্রীড়াজগতে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে, বিশেষ করে এটি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে এক হৃদয়বিদারক দুঃখের মুহূর্ত হয়ে থাকবে।