দুনিয়ার সহজতম ক্যাচগুলির মধ্যে একটি ফস্কে দিলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার হ্যারিস রউফ! মঙ্গলবার পার্লে প্রথম একদিনের ম্যাচে ৪০ তম ওভারের শেষ বলটা সুইপ করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো জানসেন। কিন্তু আব্রার আহমেদের বলটা জানসেনের ব্যাটের উপরের দিকের কাণায় লেগে ফাইন লেগের দিকে চলে যায়। যেখানে দাঁড়িয়েছিলেন রউফ। তাঁর দু'হাতের মধ্যে বলটা পড়ে। আবার লাফিয়ে বেরিয়ে যায়। সম্ভবত এত হালকা চালে ক্যাচটা ধরতে গিয়েছিলেন যে সেটার মূল্য চোকাতে হয়। আর তাঁর ক্যাচ ফস্কে যাওয়া দেখে হতবাক হয়ে যান প্রোটিয়া সমর্থকরা। বলটা রউফের কাছে যাচ্ছে দেখে তাঁরা আশঙ্কায় ভুগছিলেন। রউফ ক্যাচটা ফস্কে দিতেই এক মহিলা জোরে-জোরে হাততালি দিতে থাকেন। অপর একজন আবার এতটাই হতবাক হয়ে যান যে মুখ 'হাঁ' হয়ে যায়। হাত দিয়ে মুখটা চাপা দিয়ে ফেলেন। পুরো হতভম্ব হয়ে যান। তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে এই ক্যাচটা ফস্কে দিয়েছেন রউফ।
রউফ ক্যাচ ফেলার পরে মাত্র ৩ রান যোগ করেন জানসেন!
যদিও রউফের সেই ক্যাচ ফেলার মাশুল তেমন চোকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। ৪১.৪ ওভারে সেই আব্রারের বলেই আউট হয়ে যান জানসেন। তখন ক্যাচ নিতে কোনও ভুল করেননি রউফের বোলিং পার্টনার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আব্রারের ফাঁদে পা দিয়ে ১০ রান করেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান। রউফ ক্যাচ ফেলার পরে যোগ করেন মাত্র তিন রান।
সলমনের স্পিনে হাসফাঁস দক্ষিণ আফ্রিকার
আর সবমিলিয়ে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে নয় উইকেটে মাত্র ২৩৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন প্রোটিয়ারা। প্রথম ১০ ওভারে স্কোর ছিল এক উইকেটে ৭০ রান। কিন্তু প্রথম পাওয়ার প্লে'র পরে সলমন আলি আঘার অফস্পিনের জালে হাসফাঁস করতে থাকেন প্রোটিয়ারা। একইরকমভাবে আব্রারদের সামনেও নাকানি-চোবানি খেতে থাকেন। ভালো স্পিন বোলিংয়ের চাপ নিতে ব্যর্থ হন। পারেননি রান তুলতে। সঙ্গে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন।
ক্লাসেন একমাত্র লড়াই করেন!
একমাত্র হেনরিখ ক্লাসেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসটা ধরে থাকেন। কার্যত একা লড়াই চালিয়ে যান। তিনি যদি শেষপর্যন্ত থাকতেন, তাহলে প্রোটিয়াদের রানটা অনেক বেশি হতে পারত। কিন্তু ৮৬ রান করে ক্লাসেন আউট হয়ে যাওয়ার পরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিলেন না। লোয়ার-অর্ডার ব্যাটিং বেশ বড় ছিল। অভাব ছিল অলরাউন্ডারের। ফলে ২৩৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি। অন্যদিকে, পাকিস্তানের হয়ে আট ওভারে ৩২ রান দিয়ে চার উইকেট নেন সলমন। দু'উইকেট নেন আব্রার।