একদা ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, শার্দুল ঠাকুর, অভিষেক শর্মাদের সঙ্গে। চুটিয়ে খেলেছেন রঞ্জি ট্রফি, বিজায় হাজারে ও সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০। যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বে পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা পরাগত সিং দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করে নেপালের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতালেন কানাডাকে।
২০১৫ সালে পঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় পরাগত সিংয়ের। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে পঞ্জাবের ক্যাপ্টেন ছিলেন যুবরাজ সিং। ২০১৭ সালে শেষবার পঞ্জাবের হয়ে রঞ্জি ম্যাচে মাঠে নামেন পরাগত। সেই ম্যাচেও পঞ্জাবের ক্যাপ্টেন ছিলেন যুবরাজ সিং।
২০১৫ সালেই পরাগতর পঞ্জাবের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে অভিষেক হয় যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বেই। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে পরাগতর প্রতিপক্ষ দলের হয়ে মাঠে নামেন শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব, আদিত্য তারে, অভিষেক নায়ার, শশাঙ্ক সিং, শার্দুল ঠাকুররা।
এহেন ভারতীয় তারকা ২০২২ সাল থেকে কানাডার জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামছেন। কানাডার হয়ে ওয়ান ডে ও টি-২০, উভয় ফর্ম্যাটেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত লড়াইয়ে নামেন পরাগত। রবিবার কিং সিটিতে আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ লিগ ২-এর ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে মাঠে নামে কানাডা। এই ম্যাচে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন পরাগত।
আরও পড়ুন:- LLC 2024: জলে গেল রায়নায় মারকাটারি ইনিংস, ধ্বংসাত্মক শতরানে শিখর ধাওয়ানদের জেতালেন মর্নি
কিং সিটিতে কানাডার বিরুদ্ধে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নেপাল। তারা একসময় ৮৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে নেপাল ৪৬.১ ওভারে ১৮১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪৯ রান করেন সন্দীপ লামিছানে। অর্থাৎ, নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন তিনি। এছাড়া গুলশান ঝা ৩৪ ও করণ কেসি ২৪ রানের যোগদান রাখেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে কানাডা ৪২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৪৮ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। পরাগত ৮৩ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কা। ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ১১৩ বলে ৮৭ রান করেন নবনীত ধালিওয়াল।
পরাগত কানাডার হয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭টি ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নেমে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন। ১৯টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে ২টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি।