বাংলাদেশের বিপক্ষে আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিনস। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যেই সহজে ম্যাচ জিতে নেয় অজিরা। অবশ্য ম্যাচে মারকাটারি ঢংয়ে অর্ধশতরানও করেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবুও বিশ্ব ক্রিকেটে চর্চায় অজি তারকার পেস বোলিং। গতবছর ওডিআই বিশ্বকাপে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। দলকে জিতিয়ে ছিলেন বিশ্বকাপের ট্রফি। এবার অবশ্য অধিনায়ক হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব না দিয়ে, মিচেল মার্শকে এনেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া টি২০ বিশ্বকাপে। যদিও তাতে দলের মধ্যে কোনও বিভেদ বা মন মনমালিন্যের জায়গাই দেননি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৯ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। সেই সৌজন্যেই শাকিব আল হাসানরা ৮ উইকেটে ১৪০ রানের বেশি করতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সহজেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুুন-শরীর আকাশে ছুঁড়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ ল্যাবুশানের, না দেখলে বিশ্বাসই হবে না, ভিডিয়ো
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্যাট কামিন্সের এই হ্যাটট্রিক, টি২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম নজির। তিনি সপ্তম বোলার হিসেবে টি২০ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের নজির গড়লেন। মাহমুদ্দুলাহ, মেহদি হাসান এবং তৌহিদ হৃদয়কে সাজঘরে ফিরিয়ে এই নজির গড়েন প্যাট কামিন্স। ১৮তম ওভারে জোড়া উইকেট নেওয়ার পর ২০তম ওভারের প্রথম বলেই তৌহিদ হৃদয়কে সাজঘরে ফিরিয়ে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকের ক্লাবে প্রবেশ করেন কামিনস। প্রথম একাদশে এসেই নিজের দুরন্ত বোলিংয়ের ছার রাখলেন ব্যাগি গ্রিন্সদের এই তারকা পেসার। ডিএলএস পদ্ধতিতে শেষ পর্যন্ত ২৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয় ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেডরা।
আরও পড়ুন-সমালোচনা করাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন হাফিজ, এবার দিলেন বিরাটের মন্তব্যের সাফাই
অ্যান্টিগায় রেকর্ড বুকে নাম তুলে আরেক কিংবদন্তি ব্রেট লির পাশে জায়গা করে নিলেন কামিন্স। ম্যাচের পর প্যাট কামিনস বললেন, ‘জুনিয়র লেভেলে খেলার সময় হ্যাটট্রিক ছিল, কিন্তু সিনিয়র দলের হয়ে সেই সুযোগ হয়নি। অ্যাস্টন অ্যাগর, নাথান এলিসরা রিজার্ভে রয়েছে, ওদেরও হ্যাটট্রিক আছে। ওদের সঙ্গে একই ক্লাবে ঢুকে পড়তে পেরে ভালোই লাগছে। আমাদের জন্য এই জয় প্রয়োজন ছিল, সেটা আমরা ভালোভাবেই পেয়েছি। নেট রান নেটও ভালো রয়েছে, এই ধারা সুপার এইটের বাকি ম্যাচেও বজায় রাখার চেষ্টা করব ’ ।
আরও পড়ুন-একই বলে দু'বার আউট,তবু সাজঘরে ফিরলেন না শান মাসুদ, ইংল্যান্ড T20তে অবাক কাণ্ড,ভিডিয়ো
২২ জুন রবিবার অস্ট্রেলিয়া দল মুখোমুখি হবে আফগানিস্তানের। সেই ম্যাচ জিতে নিলেই কার্যত সেমির দিকে এক পা বাড়িয়েই রাখবে ব্যাগি গ্রিন্সরা। শেষ ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হলে গ্রুপের সব থেকে শক্তিশালী দল রোহিত শর্মার ভারতের।