শুক্রবার থেকে অ্যাডিলেডে শুরু হবে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথা মেনে আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন দু’দলের অধিনায়ক। আর সেখানেই অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে দলের পেসার স্কট বোল্যান্ডের প্রশংসা করতে দেখা গেল। জোশ হেজেলউড চোট পাওয়ার কারণে তাঁকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম টেস্টে বল হাতে ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন হেজেলউড। তাঁকে না পাওয়া নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ধাক্কা। তবে বোল্যান্ড অ্যাডিলেডে নিজের সেরাটা দেবেন বলেই মনে করছেন কামিন্স। একই সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্টে বল করার জন্য ফিট রয়েছেন মিচেল মার্শও বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের সাংবাদিক সম্মেলনে বোল্যান্ডকে ‘অতি ধারাবাহিক বোলার’ হিসেবে উল্লেখ করেন প্যাট কামিন্স। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ক্যানবেরায় নজর কেড়েছে ও, তার প্রস্তুতি সত্যিই ভালো হয়েছে। সে তার নিজের ছন্দ নিয়ে খুশি। অধিনায়ক হিসেবে আমার কাছে এটা খুবই ভালো লাগার বিষয় যে স্কটির মতো এরকম একজন ক্রিকেটার সরাসরি দলে এসেছে। আপনি জানেন ও প্রয়োজন হলে প্রচুর ওভার বল করতে সক্ষম। ও খুবই ধারাবাহিক বোলার। সে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি আছে।’
সাইড স্ট্রেনের কারণে অ্যাডিলেডের পিঙ্ক বল টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দলের পেস বোলার জোশ হেজেলউড। আদৌ সিরিজের বাকি টেস্টে তাঁকে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তার জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছে স্কটকে। বোল্যান্ড অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ২০২৩ সালের জুলাইয়ে। অর্থাৎ, দীর্ঘ ১৭ মাস পরে ফের দেশের জার্সি গায়ে চাপাতে চলেছেন তিনি। বোল্যান্ডকে চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে কোনও সময় প্রয়োজন হতে পারে, সেটা জানত অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই কারণেই সিরিজ শুরুর আগে ভারতীয়-এ দলের বিরুদ্ধে একটি বেসরকারি টেস্টে মাঠে নামানো হয়েছিল এই তারকা পেসারকে।
বোল্যান্ডকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী একাদশের হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে দু'দিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও খেলতে দেখা যায়। এখনও পর্যন্ত এই পেসার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, উইকেট নিয়েছেন ৩৫টি। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন একবার। টেস্টে তাঁর সেরা বোলিং পারফরম্যান্স ৭ রানে ৬ উইকেট। এখন দেখার হেজেলউডের জায়গায় অ্যাডিলেডে গোলাপি বলে কেমন দাগ কাটেন তিনি। ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম একাদশ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। পার্থে হারের পর এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কামিন্সরা।