অ্যাডিলেডে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। পার্থে প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট জিততে মরিয়া ছিল তারা। অ্যাডিলেডে ব্যাটে বলে সমান দাপট দেখায় অজিরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৫ রানে ভারতকে অলআউট করে দেয় তারা। প্রথম ইনিংসে ৪৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক, এটি ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর প্রথম ফাইফার ছিল। দুই ইনিংস মিলিয়ে স্টার্কের সংগ্রহ মোট ৮ উইকেট। জবাবে ট্র্যাভিস হেডের ১৪০ বলে ১৪১ রানের অনবদ্য ইনিংসের কারণে ৩৩৭ রান তোলে অজিরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয় রোহিতরা। ১৭৫ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। ৫ উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৮ রান। ১০ উইকেটে টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় অজি বাহিনী। ম্যাচ জিতে স্বভাবতই বেশ খুশি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
এদিন টেস্ট জয়ের পর অজি অধিনায়ক বলেন, ‘দারুণ একটা সপ্তাহ গেল। আমরা এইভাবেই খেলতে চাই। ফাইফার পাওয়ায় বেশ খুশি আমি।’ স্টার্কের বোলিং পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ বোলিং করেছে ও। বারবার একই জিনিস করে সে। দশক ধরে আমাদের জন্য এটা করে আসছে ও।’
ট্র্যাভিস হেডের প্রশংসাও করেন অজি অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘ও অ্যাডিলেডে ব্যাটিং করতে ভালোবাসে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল লিডটা। যেটা আমাদের বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। স্কটি (স্কট বোল্যান্ড) দলের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে, সাধারণত সে এটাই করে থাকে। আশা করব জোশ (হেজেলউড) আগামী সপ্তাহে ফিরে আসবে।’ অর্থাৎ পরিষ্কার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন যে বোল্য়ান্ডকে সম্ভবত বাইরে বসতে হবে। যিনি পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডিলেডে।
উল্লেখ্য, বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির অধীনে ভারত অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৫টি টেস্ট খেলবে। যার মধ্যে প্রথম দু'টি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানে জয় পেয়েছিল ভারত। এবার দ্বিতীয় টেস্টে ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ১৪ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। তারপর ২৬ তারিখ থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে চতুর্থ টেস্ট এবং ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু হবে সিরিজের শেষ অর্থাৎ পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ। এখন ব্রিসবেনে ঘুরে দাঁড়ানো লক্ষ্য ভারতের। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নিরিখে দু’দলের কাছেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্টে জিতে আবার WTC-এর পয়েন্ট টেবিলে পয়লা নম্বরে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ৩ নম্বরে চলে গিয়েছে ভারত। ২ নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।