আইপিএল খেলে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছে গেছেন ওডিআই ফরম্যাটে তাঁদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এবারের টি২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অধিনায়কত্ব করবেন মিচেল মার্শ। এই মূহূর্তে তিনি ফুল ফিট না হলেও তাঁর ওপরই ভরসা রাখতে চলেছে অজিরা। নতুন দায়িত্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ মার্শের সামনে, এরই মধ্যে আশার কথা শোনাচ্ছেন প্যাট কামিনস। জানিয়ে দিচ্ছেন, মার্শকে সবরকমের সাহায্য করবেন তিনি। এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে অধিনায়ক হিসেবে ফাইনালে তুলে ছিলেন প্যাট কামিন্স, পাশাপাশি দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ভালো বোলিং করতে দেখা গেছিল কামিন্সকে। আইপিএলে টানা ১৭ ম্যাচ খেলার সুফল তিনি এবারের টি২০ বিশ্বকাপে পাবেন বলেই আশা করছেন অজিদের এই পেসার।
আরও পড়ুন-বাবা! ওর মতো অলস আমি কাউকে দেখিনি, গম্ভীরকে নিয়ে ভয়ঙ্কর মন্তব্য RCB তারকার
প্যাট কামিন্স মনে করছেন, বিগত দশ বছরের মধ্যে এই মূহূর্তে নিজের কেরিয়ারের সেরা ফর্মে রয়েছেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে ১৮ উইকেট নেওয়া কামিন্স স্পষ্টতই বলছেন, নভেম্বর মাসে আইপিএলের অকশনের আগেই তিনি স্থির করে নিয়েছিলেন আইপিএলে খেলেই টি২০ বিশ্বকাপের স্টেজ রিহারশাল সাড়বেন। সেই লক্ষ্যে তিনি সফল বলেই মনে করছেন অজিদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
আরও পড়ুন-করোনার সময় দর্শকদের হাততালি পায়নি, তাই রান করেনি বিরাট! আজব যুক্তি RCB সতীর্থ-র
বিশ্বকাপের ম্যাচে নামার আগে প্যাট কামিন্স বলছেন, ‘আমি এবারে টানা ম্যাচ খেলে আসছি। সাধারণত দেখা যায়, আন্তর্জাতিক টি২০ সিরিজগুলো থাকে টেস্ট সিরিজের পর, ফলে ইয়র্কার আর স্লো বল করতে হয়, তারপর ফের টেস্ট ক্রিকেটই খেলতে হয়।, তাই বৈচিত্রের সুযোগ তেমন পাওয়া যায় না। তাই টি২০ ক্রিকেটের যে ছন্দ, সেটা পাওয়ার জন্য এই ফরম্যাটে টানা খেলা উচিত, সেটা এবারে ভালোভাবে হওয়ায় অনেক ভালো জায়গায় রয়েছি আমি। এক ফরম্যাটে খেললে বোলিং নিয়ে চিন্তাভাবনা করা যায়, কোন বোলিংয়ে সাফল্য আসছে, কোন ধরণের বোলিংয়ে আসছে না, সেটা বোঝা যায়। তাই সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে খেলতে এসেছি, তা কাজা লাগবে, আশা করছি ’।
আরও পড়ুন-খোলা মাঠে অনুশীলন বিরাটদের! রাখঢাক না রেখেই এবার আইসিসিকে তোপ রাহুল দ্রাবিড়ের
মিচেল মার্শ নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন, কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জেরে আইপিএলের মাঝপথে দেশে ফেরার পর এখনও সম্পূর্ণ ফিট নন তিনি। ওয়ার্ম আপ ম্যাচে তাঁকে পুরো সময় ফিল্ডিং করতে দেখা যায়নি। ফলে প্রয়োজন হলে, ফের একবার ফিল্ডিংয়ের সময়ই দলকে নেতৃত্ব দিতে হতে পারে কামিন্সকে। তাঁর আগে কামিন্স বলছেন, মিচেল মার্শ যদি প্রয়োজন মনে করেন, তাহলে তিনি তাঁকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য সব সময় তৈরি। দলের বাকি সিনিয়র ক্রিকেটাররাও তাঁকে পরামর্শ দিতে তৈরি রয়েছেন।