পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জাতীয় টি২০ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী প্লেয়ার এবং রিজার্ভ ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কমানোর সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আদেশ দেওয়ার পরেও, বিতর্কের কেন্দ্রেই রয়ে গিয়েছে তারা। আসলে ম্যাচ ফি-র অঙ্কটা এক লাফে এতটা বেশি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, এতে ক্রিকেট মহলের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। আর একারণে নতুন করে পর্যালোচনার নির্দেশ দেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। তবে এই ঘটনার প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে?
ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। পিটিআই-এর মতে, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতনের পাশাপাশি সুযোগ সুবিধাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরেই এটা হয়ে চলেছে। ক্রিকেটারদের কম দামি হোটেলে রাখা হচ্ছে। বিমান ভাড়াও আগের থেকে কমানো হয়েছে। পিসিবি-র বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে যে, এই সিজনের জন্য প্রাথমিক ভাবে বাজেট করা হয়নি এমন বেশ কয়েকটি নতুন ঘরোয়া ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত করার কারণে এই কাটছাঁটের প্রয়োজন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেন রোহিত অবসর নেবেন? নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে ভারত অধিনায়ককে নিয়ে বড় দাবি করলেন প্রোটিয়া তারকা
এর মধ্যে আবার অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার মাত্র একদিন পরেই হঠাৎ করে এটি স্থগিত করে দেওয়া হয়। আসলে প্লেয়ারদের বয়সজনিত এবং বাছাই সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই এই টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে কারণে পরে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। আর এই নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে। এই জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ উদীয়মান প্রতিভাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: BCCI-এর কেন্দ্রীয় চুক্তি হারাতে পারে বেশ কিছু বড় নাম, ২ কোটির ক্ষতি হতে পারে রোহিত, জাদেজাদের
এই সব অস্থিরতার মাঝেই আবার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজম, ফাস্ট বোলার নাসিম শাহ জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছেন না। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজের জন্য টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর উভয় খেলোয়াড়েরই অংশগ্রহণ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে আশা করা হয়েছিল। তবে তাঁরা তাঁদের নাম প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: IPL জয়ের পরেও যোগ্য স্বীকৃতি আমি পাইনি… KKR-এর অবহেলা নিয়ে অভিমানী শ্রেয়স
বাবরের অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে ভ্রু বাঁকাচ্ছে। কারণ পিসিবি আগেই মহম্মদ রিজওয়ান এবং নাসিম শাহের সঙ্গে তাঁরও এই ট্রফিতে অংশগ্রহণের বিষয়ে ঘোষণা করেছিল। অনুমান করা হচ্ছে যে, এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, যা এপ্রিলের মাঝামাঝি শুরু হতে চলেছে। পিসিবি-র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বাবর এবং নাসিমের মতো খেলোয়াড়রা পিএসএল-এর পারফরম্যান্সকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। কারণ তাঁরা জানেন যে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে শক্তিশালী প্রদর্শন সহজেই জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে তাঁদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে পারে। মজার বিষয় হল, পাকিস্তানের অন্যতম বিখ্যাত ক্রিকেটার বাবর আজম 2020 সাল থেকে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলেননি।