পুরান-মার্করামের ব্যাটিং ঝড়, কাজে এল না গিল-সুদর্শনের লড়াই, GT-র বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতে তিন নম্বরে উঠল LSG

IPL 205 LSG vs GT: এদিনের জয়ের ফলে ছয় নম্বর থেকে লাফ দিয়ে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ছয় ম্যাচের পরে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে গুজরাট টাইটান্স এই ম্যাচ হারর ফলে শীর্ষস্থান হারাল। পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে নামল গুজরাট টাইটান্স। লখনউ জেতায় KKR তিন নম্বর থেকে চারে নামল।

Lucknow Super Giants vs Gujarat Titans: আইপিএল ২০২৫-এর ২৬তম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টস টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তোলে। এদিনের ম্যাচে ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ওপেনিংয়ে নামেন লখনউয়ের অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। এই ম্যাচে ১৯.৩ ওভারেই লক্ষ্য অর্জন করে লখনউ। এদিনের ম্যাচটি ছয় উইকেটে জিতে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস।

এদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু করেছিল গুজরাট। সাই সুদর্শন ৩৭ বলে ৫৬ রানের ইিংস খেলেন। এই সময়ে তিনি সাতটি চার ও একটি ছক্কা মারেন। অন্যদিকে গুজরাট দলের ক্যাপ্টেন শুভমন গিল ৩৮ বলে ৬০ রানের ইিংস খেলেন। এই সময়ে তিনি ছয়টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। ১২.১ ওভারে ১২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় গুজরাট। তবে এরপরে সেভাবে কোনও ব্যাটার ইনিংসের হাল ধরতে পারননি। ১২২ রানে সাই সুদর্শন আউট হওয়ার পরেই আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৩ বলে ২ রান করে আউট হন সুন্দর।

বাটলরা ১৪ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপরে রাদারফোর্ড ১৯ বলে ২২ রান করে শার্দুল ঠাকুরের বলে LBW আউট হন। শাহরুখ খান ৬ বলে ১১ রান করে নট আউট থাকলেও রাহুল তেওয়াটিয়া শূন্য রানে আউট হন। রশিদ খান ২ বলে চার করে নট আউট থাকেন। ১৩.১ ওভারে ১২২/২ রান থেকে ২০ ওভারে ১৮০/৬ রান তোলে গুজরাট। এই সময়ে শার্দুল ঠাকুর ও রবি বিষ্ণোই দুটি করে উইকেট শিকার করেন।

গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ বলে ২১ রান করে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে ওয়াশিংটন সুন্দর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান লখনউয়ের অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। তবে এরপরে ইনিংসের হাল ধরেন এইডেন মার্করাম ও নিকোলাস পুরান। এইডেন মার্করাম ৩১ বলে ৫৮ রান করে প্রসিধ কৃষ্ণার বল শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান।

নিকোলাস পুরান ৩৪ বলে ৬১ রানের ঝড় তোলেন। সাতটি ছক্কা ও একটি চার মারার পরে রশিদ খানের বলে শহারুখ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন নিকোলাস পুরান। এরপরে ম্যাচের হাল ধরেন আয়ুষ বাদোনি ও ডেভিড মিলার। ম্যাচ শেষ করার দায়িত্ব আসে তাদের উপর। তবে ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেননি ডেভিড মিলার। ১১ বলে সাত রান করে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে বোল্ড হন মিলার। এই সময়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের দলের স্কোর ছিল ১৮.৪ ওভারে ১৭৪ রান। তবে ১৯.৩ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে লখনউ। আয়ুষ বাদোনি ২০ বলে অপরাজিত ২৮ রান করে ও আব্দুল সামাদ ৩ বলে ২ রানে করে অপরাজিত থাকেন। 

এদিনের জয়ের ফলে ছয় নম্বর থেকে লাফ দিয়ে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে গেল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ছয় ম্যাচের পরে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। অন্যদিকে গুজরাট টাইটান্স এই ম্যাচ হারর ফলে শীর্ষস্থান হারাল। লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে গেল দিল্লি। ছয় ম্যাচের পরে আট পয়েন্ট সংগ্রহ করে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে নামল গুজরাট টাইটান্স। এদিন লখনউ জেতায় কলকাতা তিন নম্বর জায়গা হারিয়ে চার নম্বরে নেমে গেল।