কর্ণাটকের প্রখর চতুর্বেদী কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে একেবারে ইতিহাস লিখে ফেললেন। ৪০০ স্কোর করা প্রথম খেলোয়াড় হয়েছেন প্রখর। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে তিনি অপরাজিত ৪০৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন।
মুম্বই প্রথম ইনিংসে যে স্কোর করেছিল, সেটা একাই ছাপিয়ে গিয়েছেন প্রখর। তাঁর প্রখর তেজে কর্ণাটক একেবারে ন'শোর কাছাকাছি স্কোর করে ফেলে। তবে তরুণ ক্রিকেটারের নকটি কিন্তু সাড়া ফেলে দিয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেটে ৪০০ রান করার কৃতিত্ব রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন তারকা ব্রায়ান লারা। তিনি মাত্র একবারই এই নজির স্পর্শ করেছেন। লারা ছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমনটা কেউ করতে পারেননি। আমরা যদি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের কথা বলি, তাহলে এমন কৃতিত্ব রয়েছে ১০ জনের। এর মধ্যে একবার রঞ্জি ট্রফিতে এমন কীর্তি করেছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়ও। এখন প্রখর আবার ৪০৪ রান করে লাল বলের ক্রিকেটে ইতিহাস লিখে ফেললেন।
আরও পড়ুন: বল হাতে কামাল অক্ষরের, জাড্ডুর সঙ্গে যোগ দিলেন এলিট লিস্টে, বিশ্বকাপে কে খেলবেন?
কে এই তরুণ তারকা?
কর্ণাটকের ব্যাটসম্যান প্রখর চতুর্বেদী কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তিনি মুম্বইয়ের বিপক্ষে ৪০৪ রানের ঐতিহাসিক এবং অপরাজিত ইনিংসটি খেলেছেন। এই ম্যাচে প্রখর ৬৩৮ বল খেলে অপরাজিত ৪০৪ রান করেছেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৪৬টি চার এবং তিনটি ছক্কা। তিনি কোচবিহার ট্রফিতে সর্বোচ্চ স্কোরারও হয়েছেন। এই ইনিংস দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে রেকর্ডের তালিকায় নাম উঠিয়ে ফেলেছেন প্রখর। এটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অর্থাৎ লাল বলের ক্রিকেটে ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলা ভারতীয় ক্রিকেটার
ভৌসাহেব বাবাসাহেব নিম্বালকর- অপরাজিত ৪৪৩ রান করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে পুনেতে কাথিয়াওয়ারের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে এই রান করেছিলেন।
প্রখর চতুর্বেদী- অপরাজিত ৪০৪ রান করেছেন। ২০২৩-২৪ কোচবিহার ট্রফিতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এই রান করেছেন।
পৃথ্বী শ'- ৩৭৯ রান করেছিলেন। ২০২২-২৩ রঞ্জি ট্রফিতে অসমের বিরুদ্ধে এই রান করেন।
সঞ্জয় মঞ্জরেকর- ৩৭৭ রান করেছিলেন। ১৯৯১ রঞ্জি ট্রফিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এই রান করেছিলেন।
মাতুরি ভেঙ্কটা শ্রীধর- ৩৬৬ রান করেছিলেন। ১৯৯৪ রঞ্জি ট্রফিতে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে এই রান করেছিলেন।
কি অবস্থা এই ম্যাচের?
এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ৩৮০ রান করেছিল। জবাবে কর্ণাটক তাদের প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮৯০ রানের বিশাল স্কোর করে। এই ইনিংসে ওপেনিং থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে অপরাজিত ৪০৪ রান করেন প্রখর চতুর্বেদী। যেখানে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন হর্ষিল ধর্মানি। এই ইনিংসে মাত্র ২২ রান করতে পারেন রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে সামিত দ্রাবিড়।