নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে এবছর কাউন্টি অভিযান শুরুর পর থেকে সেট হয়ে আউট হচ্ছিলেন বারবার। অবশেষে কাউন্টিতে বড় রানের মুখ দেখলেন পৃথ্বী শ। যদিও ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না দলকে।
সোমবার রেডলেটে ওয়ান ডে কাপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে নর্দাম্পটনশায়ার ও মিডলসেক্স। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নর্দাম্পটনশায়ার। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৭ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেন করতে নেমে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্য়ে মাত্র ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পৃথ্বী শ। তিনি শেষমেশ ৫৮ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৭৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
হাফ-সেঞ্চুরি করেন সইফ জায়েব ও গাস মিলার। সইফ ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ বলে ৫৮ রান করে আউট হন। ৬৮ বলে ৭৩ রান করেন মিলার। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এছাড়া জর্জ বার্টলেট ২৭, জাস্টিন ব্রড অপরাজিত ৩৮ ও মাইকেল ফিনান ১৫ রানের যোগদান রাখেন।
মিডলসেক্সের হয়ে ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন লিউক হলম্যান। ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন নোয়া কর্নওয়েল ও হেনরি ব্রুকস। ১টি করে উইকেট নেন ইশান কৌশল ও জোশুয়া ডি'কেয়ার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিডলসেক্স ৪৮.১ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩১৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১০৩ বলে ৮৩ রান করেন ন্যাথন ফার্নান্ডেজ। মারেন ৮টি চার ও ১টি ছক্কা। ৭৮ বলে ৮৩ রান করেন মার্ক স্টোনম্যান। তিনি ১০টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন জো ক্র্যাকনেল। তিনি ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫২ বলে ৪৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
জোশুয়া ১৭, মার্টিন অ্যান্ডারসন ৩৫ ও জ্যাক ডেভিস ৩১ রানের যোগদান রাখেন। জাস্টিন ব্রড নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে ৯ ওভারে ৬৫ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ১টি করে উইকেট নেন গাস মিলার ও সইফ জাইব। অর্থাৎ, ১১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে মিডলসেক্স।
পৃথ্বী নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে ওয়ান ডে কাপের ৩টি ম্যাচে মাঠে নেমে যথাক্রমে ৯, ৪০ ও ৭৬ রান সংগ্রহ করেন। তার আগে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ২টি ম্যাচের ৪টি ইনিংসে পৃথ্বীর সংগ্রহ ২, ২৩, ৩১ ও ৩৭ রান।