শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গল টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হার-জিতের মাঝে দাঁড়িয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। তবে শেষ দিনের শুরুতেই ভেঙে পড়ে রবীন্দ্র প্রতিরোধ। ফলে সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষমেশ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে হার মানতে হয় কিউয়িদের।
শেষ দিনে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৬৮ রান। হাতে ছিল মোটে ২টি উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই পাল্লা ভারি ছিল হোমটিম শ্রীলঙ্কার দিকে। তবে রাচিন রবীন্দ্র ব্যক্তিগত ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন চতুর্থ দিনের শেষে। তাই আশায় বুক বেঁধে ছিল কিউয়ি শিবির।
শেষমেশ পঞ্চম দিনের শুরুতে ২২টি বলের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বাকি দু'টি উইকেট তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। সেই সুবাদে ৬৩ রানের ব্যবধানে প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে ১-০ লিড নেয় দ্বীপরাষ্ট্র।
গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। তারা প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান সংগ্রহ করে। ১১৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন কামিন্দু মেন্ডিস। ৫০ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন কুশল মেন্ডিস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন উইলিয়াম। ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন আজাজ প্যাটেল ও গ্লেন ফিলিপস। ১টি উইকেট দখল করেন ক্যাপ্টেন টিম সাউদি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ৩৪০ রান। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে শ্রীলঙ্কার থেকে ৩৫ রানের লিড নেয় তারা। টম লাথাম ৭০, কেন উইলিয়ামসন ৫৫, ডারিল মিচেল ৫৭ ও গ্লেন ফিলিপস অপরাজিত ৪৯ রান করেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন প্রবথ জয়সূর্য। ৩টি উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস এবং ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করে ৩০৯ রান। দিমুথ করুণারত্নে ৮৩, দীনেশ চণ্ডীমল ৬১, অ্যাঞ্জেলো ম্য়াথিউজ ৫০ ও ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা ৪০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নেন আজাজ প্যাটেল। ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন উইলিয়াম। ১টি উইকেট পকেটে পোরেন স্যান্টনার।
প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৭৫ রানের। তারা শেষ ইনিংসে অল-আউট হয় ২১১ রানে। রাচিন রবীন্দ্র ৯২ রানে আউট হন। ৩০ রান করেন কেন উইলিয়ামসন। টম ব্লান্ডেলের সংগ্রহও ৩০ রান। ২৮ রান করেন টম লাথাম।
শ্রীলঙ্কার হয়ে শেষ ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন প্রবথ জয়সূর্য। ৩টি উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন অসিথা ফার্নান্ডো ও ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন জয়সূর্য।