যাবতীয় জল্পনার অবসান। যাঁর চেয়ারে কে বসতে পারেন বলে জোর জল্পনা চলছে, তিনি নিজেই জানিয়ে দিলেন পদ আঁকড়ে থাকবেন না। যার অর্থ, টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-ই হতে চলেছে ভারতের হেড কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের শেষ টুর্নামেন্ট।
গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পরে রাহুল দ্রাবিড়কেই সিনিয়র দলের হেড কোচের চেয়ারে রেখে দেয় বিসিসিআই। সেবার বোর্ডের অনুরোধ রেখেছিলেন রাহুল। এবার যখন তাঁর দ্বিতীয় দফার মেয়াদ শেষের পথে, নতুন করে ভারতের কোচ হতে চেয়ে আবেদন করবেন না বলে জানিয়ে দিলেন দ্রাবিড়।
উল্লেখ্য, রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বিসিসিআইয়ের চুক্তি জুন মাসের শেষ পর্যন্ত। সুতরাং, টি-২০ বিশ্বকাপের পরেই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে দ্রাবিড়ের। বিসিসিআই ইতিমধ্যেই রোহিতদের নতুন কোচ খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে। ২৭ মে-র মধ্যে আবেদন করার সময়সীমাও শেষ হয়েছে। যদিও কারা আবেদন করেছেন, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য সামনে আসেনি এখনও।
টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হওয়ার দৌড়ে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে গৌতম গম্ভীর। তবে দ্রাবিড় যদি থেকে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে সমীকরণ বদলে যেতে বাধ্য। শেষমেশ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে দ্রাবিড় নিশ্চিত করেন, তিনি লড়াইয়ে নেই। সুতরাং, টি-২০ বিশ্বকাপই হতে চলেছে ভারতের হেড কোচ হিসেবে রাহুলের ফেয়ারওয়েল টুর্নামেন্ট।
দ্রাবিড় বলেন, ‘আমার অধীনে এটিই (টি-২০ বিশ্বকাপই) শেষ টুর্নামেন্ট হতে চলেছে। যে ধরণের সূচি রয়েছে এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে জীবনের যে পর্যায়ে আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি, সব দিক বিবেচনা করে মনে হয় না পুনরায় আবেদন করতে পারব। সুতরাং, নিশ্চিতভাবেই এটা আমার শেষ টুর্নামেন্ট।’
ভারতীয় দলকে কোচিং করানো প্রসঙ্গে দ্রাবিড় আরও বলেন, ‘এই কাজটা করতে আমার ভালোলাগে। ভারতীয় দলকে কোচিং করানো অত্যন্ত উপভোগ করেছি। আমার মতে এটা একটা স্পেশাল কাজ। এই সব ছেলেদের সঙ্গে কাজ করা সত্যিই উপভোগ্য।’
রাহুল দ্রাবিড় ২০২১ সালের নভেম্বরে রবি শাস্ত্রীর কাছ থেকে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচের ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নেন। দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ভারত ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে মাঠে নামে। তবে সেমিফাইনালেই অভিযান শেষ করে টিম ইন্ডিয়া। ২০২৩ সালে দ্রাবিড়ের কোচিংয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে যায় ভারত। পরে রাহুলের প্রশিক্ষণেই ২০২৩ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পরাজিত হন রোহিত শর্মারা। এবার দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে ভারত দীর্ঘদিনের আইসিসি ট্রফি খরা কাটাতে পারে কিনা, সেটাই হবে দেখার।