সঞ্জু স্যামসন এবং কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব এখন ওপেন সিক্রেট। বিজয় হাজারে ট্রফির জন্য স্যামসনকে কেরলের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত না করার সময় এই ঝামেলা প্রথমবার সামনে আসে। এখন সেটা পুরোদস্তুর লড়াইয়ের রূপ নিয়েছে।
স্যামসনের বাবা অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। স্যামসনের পিতা বিশ্বনাথ কেসিএ-র বিরুদ্ধে ছেলের কেরিয়ারকে কলঙ্কিত ও শেষ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। Sports Tak-এর সঙ্গে আলোচনায় স্যামসনের বাবা কীভাবে কেরল ক্রিকেট সংস্থা তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, সে সম্পর্কে বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেন।
কেরলের সঙ্গে স্যামসনের সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন নয়। বরং এটা চলছে সেই সময় থেকে যখন স্যামসন তাঁর কৈশরেও পা দেননি। বিশ্বনাথের মতে, কেসিএ ১১ বছর বয়স থেকেই স্যামসনের কেরিয়ার ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তবে বিশ্বনাথের দাবি, রাহুল দ্রাবিড়ের সান্নিধ্যে তাঁর ছেলের অস্বস্তি দূর হয়। দ্রাবিড়ের 'হস্তক্ষেপ' কীভাবে সঞ্জু স্যামসনের কেরিয়ারকে নতুন জীবন দেয় তাও বর্ণনা করেন সঞ্জুর বাবা। তিনি জানান, কীভাবে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের প্রচেষ্টা তাঁর ছেলের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের পথ চওড়া করে।
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy: একজনের বয়স ১৮, অন্যজনের ২০, রঞ্জিতে দাপুটে শতরান CSK-র দুই উঠতি তারকার
স্পোর্টস টুডেকে বিশ্বনাথ বলেন, ‘রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে একটা ঘটনা বলি। কেসিএ যখন সঞ্জুকে উপেক্ষা করে তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল, তখন দ্রাবিড় এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। সঞ্জু আজ যেখানেই থাকুক না কেন, তার জন্য রাহুল দ্রাবিড়ের কাছে ঋণী। আমি এমন কাউকে ভুলিনি যাঁরা আমাদের প্রতি সদয় হয়েছেন। যখন স্যামসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল, আমরা সবাই মন খারাপ করে বাড়িতে বসেছিলাম। এমন সময় সঞ্জুকে রাহুল দ্রাবিড় ফোন করেন। সঞ্জু খুব খুশি হয়েছিল। ফোনটা তুলেই কাঁদতে শুরু করে।’
'ওরা হিংসা করে, তুমি চিন্তা কোরো না'
বিশ্বনাথ আরও বলেন, ‘ফোন রাখার পর ও আমাকে বলে, রাহুল স্যার কল করেছিলেন। তিনি বলেন, সঞ্জু, তোমার সঙ্গে যা হচ্ছে সব আমি বুঝতে পারছি। সবাই তোমাকে ঈর্ষা করে। তুমি চিন্তা কোরো না। ভেঙে পড়ার দরকার নেই। আমি এদিকটা দেখে নিচ্ছি। তুমি অনুশীলন চালিয়ে যাও এবং এনসিএ-র জন্য প্রস্তুত হও। দ্রাবিড় কেসিএর থেকেও উপরমহলে কলকাঠি নাড়েন এবং সঞ্জুকে ছত্রছায়া দেন।’
পরে ২০১৩ আইপিএল মরশুমে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসের ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেন স্যামসন। রাজস্থান রয়্যালসে স্যামসনের ট্রায়ালের সময় রাহুল দ্রাবিড় যে উপস্থিত ছিলেন, সেটা সকলেই জানেন। সঞ্জুর পাওয়ার হিটিংয়ে পুরোপুরি মুগ্ধ হয়েছিলেন দ্রাবিড়। স্যামসনের সম্ভাবনার দিকে তাকিয়েই দ্রাবিড় সচেষ্ট হয়েছিলেন, যাতে এমন প্রতিভা নষ্ট না হয়ে যায়।