Rahul Dravid plays with son: ক্লাব ম্যাচে ছেলের সঙ্গে ব্যাটিং রাহুল দ্রাবিড়ের! জুটিতে উঠল ১৭ রান, কত করলেন?

ছেলে অনভয়ের সঙ্গে ক্লাব ম্যাচে ব্যাটিং করতে নামলেন রাহুল দ্রাবিড়।

হতে পারে তাঁর বয়স ৫২। কিন্তু এখনও যে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সামান্যতম সুযোগ পেলেও সেটার যে পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করবেন, তা প্রমাণ করে দিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ছোট ছেলে অনভয়ের (১৬) সঙ্গে শ্রী নাসুর মেমোরিয়াল শিল্ডের তৃতীয় ডিভিশনের ম্যাচ খেলতে নেমে পড়লেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেড কোচ। শুধু তাই নয়, বিজয় ক্রিকেট ক্লাবের (মালুর) হয়ে মাঠে নেমে ছেলের সঙ্গে ব্যাটিংও করেন। পঞ্চম উইকেটে তাঁরা ১৫ বলে ১৭ রান যোগ করেন। আট বলে ১০ রান করেন ‘সিনিয়র’ দ্রাবিড়। ছেলে অনভয় ৬০ বলে করেন ৫৮ রান। সবমিলিয়ে ইয়ং লায়ন্স ক্লাবের বিরুদ্ধে ৫০ ওভারে সাত উইকেট ৩৪৫ রান তোলে ভারতের প্রাক্তন হেড কোচের দল।

আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে যুক্ত!

এমনিতে আপাতত আইপিএলের দল রাজস্থান রয়্যালসের হেড কোচ পদে আছেন দ্রাবিড়। আর আগামী ২৩ মার্চ আইপিএলে দ্রাবিড়দের অভিযান শুরু হবে। আর গ্রুপ লিগের দুটি হোম ম্যাচ অসমে (রিয়ান পরাগের রাজ্য) খেলবে রাজস্থান। সেজন্য শুক্রবার অসমেও যান দ্রাবিড়। খতিয়ে দেখেন যে বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে কী কী সুযোগ-সুবিধা আছে।

ইন্দিরানগরের গুন্ডা রাহুল

তারইমধ্যে দিনকয়েক আগে বেঙ্গালুরুর রাস্তায় একটি মালবাহী অটোর সঙ্গে ধাক্কা লাগে দ্রাবিড়ের গাড়ির। তাতেই রেগে যান রাহুল। তিনি গাড়ি থেকে নেমে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন সংশ্লিষ্ট অটো ড্রাইভারের সঙ্গে। যা দেখে নেটিজেনদের মনে উদয় হয় জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ভিডিয়োয় উল্লেখ করা ইন্দিরানগরের গুন্ডা স্মৃতি।

যদিও এক্ষেত্রে রাহুলকে কোনওভাবেই আগ্রাসী দেখায়নি এবং তিনি তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েননি। বিষয়টি নিছক কথা কাটাকাটির পর্যায়েই সীমাবদ্ধ থাকে এবং শেষে তেমন কোনও অভিযোগ ছাড়াই দ্রাবিড় সেখান থেকে চলে যান। তবে যাওয়ার আগে রাহুল সংশ্লিষ্ট অটো ড্রাইভারের কন্টাক্ট নম্বর ও গাড়ির নম্বর নিয়ে যান বলে খবর। এই বিষয়ে দ্রাবিড়ের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও কোনও খবর নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা যায় রাহুল নিজের গাড়ি থেকে নেমে অটো ড্রাইভারের সঙ্গে একটু রাগের সঙ্গেই কথা বলছেন। সংশ্লিষ্ট অটো ড্রাইভারও দ্রাবিড়কে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন। সম্ভবত তিনি এটাই বোঝাতে চাইছিলেন যে, দোষ তাঁর নয়। তাঁদের কথাবার্তা চলছিল কন্নড় ভাষায়।